ওয়াশিংটন, ২৬ জানুয়ারি – বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কেনেথ স্মিথ নামে এক হত্যা মামলার আসামিকে নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিটের দিকে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর রাত ৮টা ২৫ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করে মার্কিন কারা কর্তৃপক্ষ। খবর রয়টার্সের।
আসামি কেনেথ স্মিথ ১৯৯৬ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন। বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে তাকে মৃত্যুদণ্ডের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়েই নিভিয়ে দেওয়া হলো তার জীবনপ্রদীপ।
এক ধর্মযাজকের স্ত্রীকে হত্যা করেছিলেন আসামি কেনেথ। আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। কিন্তু কীভাবে সেটি কার্যকর করা হবে তা নিয়ে ছিল জটিলতা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ২০২২ সালে আলাবামার আদালতের নির্দেশে প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিয়ে স্মিথের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিল। পরের বছরের মে মাসে দ্বিতীয় দফায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রচেষ্টা চালানো হয়। তখন আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন স্মিথ। এরপর অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া পর্যালোচনার ঘোষণা দেন। এর কয়েক মাস পর নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
যেভাবে কার্যকর হলো মৃত্যুদণ্ড
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগের ফলে স্মিথ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জ্ঞান হারান এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে তার মৃত্যু হয়।
চিকিৎসকরা জানান, অক্সিজেন ছাড়া নাইট্রোজেন গ্যাস নিশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে কোষগুলো ভেঙে যায় এবং মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। এ প্রক্রিয়ার জন্য বিশেষভাবে তৈরি একটি মাস্ক পরানো হয় আসামিকে। এ মাস্কের ভেতর দিয়ে অক্সিজেন চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। মাস্কটি নাইট্রোজেনভর্তি একটি সিলিন্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
জানা যায়, এলিজাবেথ সেনেটকে খুন করার জন্য কেনেথ স্মিথ এবং তার এক সহযোগীকে ভাড়া করেছিলেন সেনেটের স্বামী চার্লস। আইনজীবীরা বলেন, স্ত্রীর বিমার টাকা পেতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। পরে অবশ্য চার্লসও আত্মহত্যা করেন। সেনেট হত্যার ঘটনায় স্মিথের সহযোগীকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ২৬ জানুয়ারি ২০২৪