নয়াদিল্লি, ২০ জুন – ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি ‘নজিরবিহীন আস্থাপূর্ণ’ সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত যে অবস্থান নিয়েছে, তার জন্য দিল্লি যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার মুখোমুখি হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার আগে মঙ্গলবার (২০ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন নরেন্দ্র মোদী।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হলো সামরিক সহযোগিতা। এটির কারণেই দুই দেশের মধ্যে আস্থাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্ক বাণিজ্য, জ্বালানি ও শক্তিখাতেও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ওয়াশিংটন ভারতকে রাশিয়ার তেলসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ ক্রয় থেকে দূরে রাখতে চায় ও এ বিষয়ে আরও ইতিবাচক ভূমিকা চায় কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে নরেন্দ্র মোদী বলেন, আমি মনে করি না যুক্তরাষ্ট্র এমন মনোভাব পোষণ করে।
‘আমি মনে করি, ভারতের অবস্থান সারাবিশ্বে সুপরিচিত ও সবাই এ বিষয়ে ভালোভাবেই জানে। বিশ্বের পূর্ণ আস্থা রয়েছে যে, ভারত শান্তিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।
মোদী আরও বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আমি বেশ কয়েকবার কথা বলেছি। সংকট নিরসনে ভারত যা করতে পারে, তা করবে বলে আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার সময় প্রতিরক্ষা খাতবিষয়ক আলোচনা প্রাধান্য পাবে।
ভারত দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সশস্ত্র ড্রোন কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিল। কিন্তু নানা ধরনের কূটনৈতিক জটিলতায় তা আর হয়ে ওঠেনি। মোদির ওয়াশিংটন সফরে এ বিষয়ে চুক্তি হলে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারত বছরে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি ডলারের সি-গার্ডিয়ান নামের সশস্ত্র ড্রোন কিনতে পারবে।
জানা গেছে, মোদীর ওয়াশিংটন সফরের সময় হোয়াইট হাউজ ও পেন্টাগন জেনারেল অ্যাটমিকসের তৈরি ৩০টি সশস্ত্র এমকিউ-৯বি সি-গার্ডিয়ান ড্রোন দেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে। পরে এ বিষয়ে চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ২০ জুন ২০২৩