কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের শীর্ষনেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আরও দুজন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছেন ১৪ এপিবিএন সদস্যেরা।
আটক রোহিঙ্গারা হচ্ছেন—জিয়াউর রহমান এবং আব্দুস সালাম। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের একটি দল উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। আটক দুজনকে রাতে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে এপিবিএন।
ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৪ এপিবিএন-এর পুলিশ সুপার নাঈমুল হক আজ শনিবার সকালে দুজন রোহিঙ্গা আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে মুহিব্বুল্লাহ হত্যার ঘটনায় তিন সন্দেহভাজন রোহিঙ্গাকে আটক করা হলো।
এর আগে গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে এপিবিএন-এর সদস্যেরা মোহাম্মদ সেলিম ওরফে লম্বা সেলিমকে আটক করেছিলেন। পরে সেলিমকে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিববুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে নিহতের ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১২৬।
গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-এর ব্লক-ডি ৮-এ মুহিবুল্লাহর নিজ অফিসে পাঁচটি গুলি করে। এ সময় তিনটি গুলি তাঁর বুকে লাগে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যেরা তাঁকে উদ্ধার করে ‘এমএসএফ’ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে উখিয়া থানা পুলিশ রাত ১টার দিকে তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসেন।
ময়নাতদন্তের পর মুহিবুল্লাহর মরদেহ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে বিকেলেই কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে জানাজার পর তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় সেখানে হাজার হাজার রোহিঙ্গার ঢল নামে।
এদিকে, মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জেলা পুলিশ ও এপিবিএন-এর টহল বাড়ানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৪ এপিবিএন-এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক।