নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় ময়মনসিংহ ও সিরাজগঞ্জে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহ সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম চৌধুরী। অন্যদিকে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুরুল হক জানান, ময়মনসিংহে করা মামলায় ডা. মুরাদের সঙ্গে মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের নামেও নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় মামলা করা হয়েছে। সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ বজলুর রহমান মামলার আবেদন গ্রহণ করে আদেশের জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করবেন বলে রেখে দেন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জাইমা রহমানকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে সিরাজগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
তিনি জানান, আসামিরা ফেসবুক লাইভে ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার এবং ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী এবং যেকোনো নারীর জন্য মর্যাদাহানিকর ভাষা’ ব্যবহার করেছেন। আসামি মুরাদ হাসান লাইভে ধারণকৃত সাক্ষাৎকারটি তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচার ও প্রকাশ করে রাজনৈতিক শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও মানহানিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ইন্দ্রজিৎ সাহা জানান, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জাইমা রহমানকে নিয়ে কটূক্তি ও বাজে মন্তব্য করেন। এতে তাদের পরিবারে মানহানি হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সদর আমলী আদালতে একটি মানহানির মামলার আবেদন জমা দিয়েছেন। সদর আমলী আদালতের বিচারক বেলাল হোসেন মামলাটি গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন।