বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মুক্তি কক্সবাজার’র উদ্যোগে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝে Improving Peaceful Coexistence and Self-reliance Opportunity for Refugees and Host Community প্রকল্পের শিখন বিনিময় বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার(২৯ ডিসেম্বর) এসএআরপিভি কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তি কক্সবাজার’র উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও প্রাক্তন সভাপতি এ্যাডভোকেট শিবু লাল দেব দাস।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তি কক্সবাজার’র প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার। তিনি বলেন, মুক্তি কক্সবাজার কক্সবাজারের এনজিও। ১৯৯৬ সাল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত কক্সবাজারের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর সাথে সমন্বয় করে সহযোগী সংস্থা হিসেবে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়নে মুক্তি কক্সবাজার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। মুক্তি কক্সবাজার’র প্রত্যেক প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা রয়েছে। সে অনুযায়ী প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে কর্ম এলাকায় স্থানীয় হতদরিদ্র মানুষের জীবিকার উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি সুব্রত চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয়দের উন্নয়নে বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থাগুলোর সাথে কাজ করে যাচ্ছে। মুক্তি কক্সবাজার’র মাধ্যমে উখিয়া উপজেলার দুই ইউনিয়নের হতদরিদ্র মানুষের জীবিকায়ন নিশ্চিতে যে প্রকল্প গ্রহণ করে জীবিকার সুযোগ করে দিচ্ছে সেটা যেনো অব্যাহত থাকে সে প্রত্যাশা।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার,উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুরজিৎ পারিয়াল, উখিয়া প্রেসক্লাব এর সভাপতি সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার, ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি শাহাদত হোসেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মির্জা শামীম।
বক্তব্য রাখেন, উখিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, উখিয়া প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি শরীফ আজাদ, এনজিও সুশিলন-এর কর্মকর্তা শামীম খান, মুক্তি কক্সবাজারের টেকনিক্যাল অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম, রাজা পালং ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার খোরশেদা বেগম, উপকার ভোগী যথাক্রমে মনোয়ারা বেগম, আমিন হোসেন,রেনুয়ানা বেগম,জোবাইদা খানম,পেটান আলী,মফিজ উদ্দিনসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা , জনপ্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ।
সভায়, উপকারভোগীদের মধ্যে রাজাপালং ও পালংখালী ইউনিয়নের ১২জন হতদরিদ্র নারী ও পুরুষ মুক্তি কক্সবাজারের মাধ্যমে নিজেদের স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প বিনিময় করেন।
প্রকল্পের কার্যক্রম ও শিখন বিষয়ে তথ্যবহুল উপস্থাপনা করেন মুক্তি কক্সবাজার’র প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. ওসমান গণি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মুক্তি কক্সবাজার’র প্রকল্প কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন ও প্রকল্প কর্মকর্তা আবেদা সুলতানা লিজা।