মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

মুক্তিপণে ছাড়া পেলেন টেকনাফে অপহৃত ১০ যুবক

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড় থেকে অপহরণের শিকার ১০ যুবক প্রায় ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে পাহাড়ে তাদের রেখে যায় অপহরণকারীরা।

ফেরত আসা অপহৃতদের পরিবার বলছে, মুক্তি পেতে তাদের প্রায় ২ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, অপহৃতরা ফেরত এসেছে। কিন্তু মুক্তিপণের বিষয়টি তারা জানে না। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

মুক্তি পাওয়ারা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচি পাড়া এলাকার বেলাল এর দুই ছেলে জুনাইদ (১২) ও মোহাম্মদ নুর (১০), একই এলাকার লেদুর ছেলে শাকিল (১৫), শহর আলীর ছেলে ফরিদ আলম (৩৫), নুরুল ইসলামের ছেলে আকতার (২৫), নাজির হোসেনের ছেলে ইসমাইল প্রকাশ সোনায়া (২৪) ও হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং এলাকার আলী আকবর এর ছেলে ছৈয়দ হোছাইন বাবুল (২৬), কালা মিয়ার ছেলে ফজল কাদের (৪০)। এর দুদিন আগে অপহৃত টেকনাফের হোয়াইক্যং রোজার ঘোনা এলাকার আমির হোসেনের ছেলে অলি আহমদ (৩২) ও কম্বনিয়া এলাকার ফিরুজের ছেলে নুর মোহাম্মদ (১৭) মুক্তিপণে ফিরে আসেন।

এ বিষয়ে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, অপহরণের শিকার ব্যক্তিরা ফেরত এসেছেন। তবে কিভাবে ফেরত এসেছেন সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অপহরণের শিকার শাকিলের পিতা লেদু মিয়া বলেন, রাতে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পর ছেলেকে ফেরত দিয়েছে অপহরণকারীরা। কষ্টের সময় মানুষের কাছ থেকে ঋণ করে টাকা দিয়ে ছেলেকে ছাড়াতে হয়েছে। ছেলের সঙ্গে বাকিরাও মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত এসেছেন।

হোয়াইক্যং কানজর পাড়া এলাকার গ্রাম পুলিশ শেখ কবির জানান, আগের দুজনসহ অপহৃত দশজনকে অপহরণকারীরা মুক্তিপণে ফেরত দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে রৈক্ষ্যং ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করা বাড়িতে নিয়ে আসেন। বুধবার সকালে পাহাড়ে কাজ করতে গেলে অপহরণের শিকার হন তারা।

এ বিষয়ে টেকনাফে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, অপহৃতরা ফিরেছেন। আমরা অপহরণকারীদের ধরতে কাজ করছি।


আরো খবর: