শিরোনাম ::
দ্বিতীয় চালানে ভারত থেকে এলো ২৭ হাজার টন চাল বাড়ি বাড়ি ভোটার হালনাগাদে প্রশিক্ষণ ব্যয় ১০ কোটি টাকা পেকুয়ায় জামায়াত ইসলামির দাওয়াতি প্রোগ্রাম ও পথসভা দ্রুতই ‘রোডম্যাপ’ দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে চায় সরকার মহেশখালীতে পুলিশের অভিযানে হত্যা ও অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ গ্রেফতার ৪  পেকুয়ায় লবণের দরপতন, স্থবিরতা অর্থনীতিতে উখিয়া হাজীরপাড়া সীরত কমিটির উদ্যোগে ৬ষ্ঠ তম হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা সম্পন্ন, পুরষ্কার বিতরণ শয়তানের চক্রান্ত থেকে বাঁচার উপায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মঞ্জু ও সম্পাদক ফুয়াদ রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিয়ে ভোলায় জিয়া মঞ্চের লিফলেট বিতরণ 
রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলো আরও ৮৮ জন বিজিপি সদস্য

আব্দুস সালাম,টেকনাফ::
আপডেট: রবিবার, ৫ মে, ২০২৪

কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তের নাফনদী দিয়ে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও অন্তত ৮৮ সদস্য। তাদের কোস্টগার্ড সদস্যরা হেজাফতে নিয়েছেন।

রবিবার (৫ মে) ভোরে ৩টি কাঠের ট্রলারযোগে সীমান্তে অনুপ্রবেশের সময় কোস্টগার্ড সদস্য তাদের হেফাজতে নিতে দেখেছে স্থানীয় লোকজন।

যদিও বিষয়টি নিয়ে কোস্টগার্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। কোস্টগার্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, এদের নিরস্ত্রীকরণ করে বিজিবির কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

এদিনে কথা বলেননি বিজিবির কোন কর্মকর্তাও। বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন বিজিবি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমারের উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাঈনুল কবির বলেন, শনিবারের মতো রবিবারও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তবে কতজন সেটা এখনো জানা যায়নি। তাদেরকেও বিজিবির হেফাজতে রাখা হবে।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, কাঠের ট্রলারযোগে আসা মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের কোস্টগার্ড সদস্যদের হেফাজতে নেয়ার পর টেকনাফের কেরুনতলীস্থ কোস্টগার্ড স্টেশনের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে অন্তত ৮৮ জন বিজিপি সদস্য রয়েছে। কোস্টগার্ড স্টেশন কার্যালয়ের পাশে কয়েকটি বাসও অপেক্ষামান রয়েছে।

এর আগে শনিবার ভোরে আরও কিছু সংখ্যক মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে সংখ্যাটা ৫০ জনের কম বলে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমারের উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাঈনুল কবির।

টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে রবিবারও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ৮০ থেকে ৯০ জন সদস্য পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে এটা শুনেছি। তবে বিষয়টি কোস্টগার্ড ও বিজিবি দেখছে।

উল্লেখ্য এর আগে দুই দফায় পালিয়ে আসা বিজিপি ও সেনা বাহিনীর ৬১৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। এর আগে আশ্রয় নেয়া ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বদেশে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।


আরো খবর: