নেপিডো, ২৮ নভেম্বর – আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান এই আবেদন করেছেন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) আইসিসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২০১৬ ও ২০১৭ সালের সহিংসতার সময় এবং তার পরবর্তী সময়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সংঘটিত অপরাধগুলোর তদন্ত করা হয়েছে।
একটি বিস্তৃত, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের পর কার্যালয় এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে বর্তমানে মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও মিয়ানমার প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইং যিনি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বিশেষ করে নির্বাসন এবং নিপীড়নের মতো অপরাধমূলক দায় বহন করেন। এসব অপরাধ মিয়ানমার ও আংশিকভাবে বাংলাদেশেও সংঘটিত হয়েছে।
করিম খানের উদ্ধৃতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আমার কার্যালয় দেখতে পেয়েছে যে, এই অপরাধগুলো ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমারের সশস্ত্রবাহিনী তাতমাদাও, জাতীয় পুলিশ, সীমান্তরক্ষী পুলিশ এবং কিছু অরোহিঙ্গা বেসামরিক নাগরিকের সহায়তায় সংঘটিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তিন বিচারক নিয়ে গঠিত আইসিসির একটি প্যানেল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। তারা দেখবেন মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মতো ‘উপযুক্ত কারণ’ আছে কিনা। মিয়ানমারের এই জেনারেলের নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয়েছে। এছাড়া লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, গত সপ্তাহে করিম খানের অনুরোধের প্রেক্ষিতে দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োহাভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। এই পরোয়ানা জারির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক চাপের মুখে আছেন তিনি।
সূত্র: আরটিভি নিউজ
আইএ/ ২৮ নভেম্বর ২০২৪