নেপিডো, ১৪ আগস্ট – উত্তর মিয়ানমারের জেড পাথরের খনিতে ভূমিধসে ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছে। ভূমিধসে নিখোঁজদের সন্ধানে চলছে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন উদ্ধারকারী কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। মিয়ানমারের এই জেড পাথর উত্তোলন এক বিশাল ব্যবসা।
পৃথিবীর ৭০ শতাংশ জেড উৎপন্ন হয় মিয়ানমারে।
ঘটনাটি ঘটেছে মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ৯৫০ কিলোমিটার (৬০০ মাইল) উত্তরে কাচিন রাজ্য এইচপাকান্তে। এটি একটি প্রত্যন্ত পাহাড়ী শহর।এই অঞ্চলটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে লাভজনক জেড পাথরের খনিগুলোর কেন্দ্রস্থল।
স্থানীয় উদ্ধারকারী দলের নেতা বলেছেন, ৩০ জনেরও বেশি খনি শ্রমিক ভূমিধসের কারণে হ্রদে ভেসে যায়। শ্রমিকরা সেখানে খননের কাজ করছিলেন। গ্রামের কাছাকাছি খনিগুলো থেকে মাটি এবং ধ্বংসাবশেষ ৩০৪ মিটার (প্রায় ১০০০ফুট) পাহাড়ের নিচে একটি হ্রদে গিয়ে পড়ে। ওই সময় পথে খনি শ্রমিকদের আঘাত করে।
উদ্ধারকারী দলের ওই নেতা সেনাবাহিনী হাতে গ্রেপ্তারের ভয়ে নিজের নাম প্রকাশ করেননি।
দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন এবং স্থানীয় উদ্ধারকারী দল হ্রদে অনুসন্ধান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ৮ খনি শ্রমিক আহত হয়েছেন এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একজন খনি শ্রমিক তার নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছে, তার তিনজন সহকর্মী ভূমিধসে হ্রদে তলিয়ে গেছে। নিহতদের অধিকাংশই পুরুষ।
ভুক্তভোগীরা সাধারণত স্বাধীন খনি শ্রমিক। তারা খনির পাশেই মাটির বিশাল ঢিবির কাছে বসবাস করেন।
এর আগে, ২০২০ সালের জুলাইতে একই এলাকায় ভূমিধসে কমপক্ষে ১৬২ জন মারা গিয়েছিল। তারও আগে ২০১৫ সালের নভেম্বরে আরো একটি দুর্ঘটনায় ১১৩ জন মারা গিয়েছিল। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ‘জেড মাইনিং’ মিয়ানমারের জান্তা সরকারের রাজস্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। চীনাদের কাছে অন্যতম আকাঙ্খিত বস্তু হচ্ছে এই জেড। প্রতি বছর এই বাণিজ্য থেকে শত শত কোটি ডলার আয় করে মিয়ানমার। সেনা শাসনের বিরোধীরা খনিজ সম্পদের বিক্রি কমাতে নিষেধাজ্ঞা ও বয়কটের পক্ষে।
সূত্র: কালের কন্ঠ
আইএ/ ১৪ আগস্ট ২০২৩