শিরোনাম ::
পেকুয়ায় হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনা-বিজিপি সদস্যসহ ৪০ জনকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পেকুয়ায় মায়ের সামনে ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে অবহেলায় হাতি শাবকের মৃত্যু : ময়নাতদন্তের পর মাটি চাপা সাগরপথে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৬০০ বস্তা সারসহ ট্রলার জব্দ, আটক ১০ জন বিএনপি অফিস নিয়ে ভুল উচ্চারণ প্রসঙ্গে আমার ব্যাখ্যা ও বিএনপিসহ সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ কক্সবাজারে নিখোঁজ সিলেটের ৬ শ্রমিক উদ্ধার চকরিয়ায় দিনেদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকের যাত্রীর ভাড়া ও সি-ট্রাক চলাচলে সময়সূচি চূড়ান্ত,আনন্দে উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসী
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

মায়ের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত সিনেমার মেঘমল্লার

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি – শাহবাগের জাতীয় যাদুঘরে শেষ শ্রদ্ধা জানানো শেষে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে মায়ের কবরে শায়িত করা হয় তাকে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে আটটায় ভারতের বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ‘মেঘমল্লার’ সিনেমার এই নির্মাতা। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। লিভারের জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় প্রয়াত নির্মাতার মরদেহ দেশে আনা হয়। সেখান থেকে বোন তন্নির বাসা ইস্কাটনে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে স্থানীয় মসজিদে গোসল শেষে প্রথম জানাজা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা আকরাম খান, সুরকার ও গীতিকার প্রিন্স মাহমুদসহ অনেকে। জানাজা শেষে তার মরদেহ রাখা হয় লাশবাহী বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে।

আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে অঞ্জনের মরদেহ তার কর্মস্থল স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা জানানোর পর তার জানাজা হয়। এরপর জোহরের নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে আরেকটি জানাজা হয়। সেখান থেকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে নেওয়া হয় শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। শেষে নেওয়া হয় আজিমপুর কবরস্থানে।

বলা প্রয়োজন, কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘রেইনকোট’ গল্প অবলম্বনে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘মেঘমল্লার’ নির্মাণ করেন অঞ্জন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এটি ছিল তার প্রথম ফিচার ফিল্ম। প্রথম ছবির জন্যই তিনি ‘শ্রেষ্ঠ পরিচালক’ ও ‘শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

জাহিদুর রহিম অঞ্জন ভাষাসৈনিক মিজানুর রহিমের সন্তান।

১৯৬৪ সালের ২৭ নভেম্বর ফরিদপুরের রাজবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

১৯৮৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯৯০ সালে ভারতের পুনে ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট থেকে ডিরেকশন এন্ড স্ক্রিপ্ট রাইটিং-এর উপর স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা অর্জন করেন। তিনি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সিনেমা এন্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) এবং পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউটে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যুক্ত ছিলেন।

আইএ/ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫



আরো খবর: