মাথায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা, একই সঙ্গে বমি বমি ভাব বা মাথার একপাশ থেকে শুরু হয়ে পুরো মাথায় অসম্ভব ব্যথা, সঙ্গে হালকা জ্বর- এ উপসর্গগুলো মাইগ্রেনে আক্রান্তদের কাছে বেশ পরিচিত। একটানা বেশ কয়েক দিন থাকায় এ যন্ত্রণা শরীর কাবু করে দেয়। কিছু অভ্যাস আমাদের অজান্তে এ ব্যথা বাড়িয়ে তোলে। জেনে নেওয়া যাক মাইগ্রেন থাকলে কোন কাজ ভুলেও করা ঠিক নয়।
মাথাব্যথার ধরন : মাথাব্যথা দুই ধরনের। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি মাথাব্যথা। প্রাইমারি মাথাব্যথার সে রকম কোনো নির্দিষ্ট কারণ পাওয়া যায় না। টেনশন থেকে মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন প্রাইমারি মাথাব্যথার অন্তর্ভুক্ত। মাইগ্রেনের রোগীরা বিভিন্ন ধরনের উদ্দীপনার প্রতি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন। কারও দেখা যায় রোদে গেলে বা মানসিক চাপে থাকলে মাথাব্যথা বেড়ে যায়।
প্রাইমারি মাথাব্যথা নিউরোভাস্কুলার সমস্যা অর্থাৎ মস্তিষ্কের স্নায়ু ও রক্তনালির সংবেদনশীলতার জন্য মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়। এ ব্যথা শুরু হয় মাথার একপাশ থেকে। এ অবস্থাকে বলে হেমিক্রেনিয়া। মাথার একাংশ দপদপ করে ব্যথা করে। ব্যথা কখনো হঠাৎ থেমে গিয়ে কয়েক দিনের বিরতি নিয়ে আবার শুরু হতে পারে। মাইগ্রেনের ব্যথা ৪ ঘণ্টা থেকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
চিনি এড়িয়ে চলা : অতিরিক্ত চিনি দেওয়া আছে- এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। খাদ্যতালিকায় যত কম চিনিজাতীয় খাবার রাখবেন, তত ভালো। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে মাইগ্রেন ব্যথা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তত বেশি থাকে।
কম খাওয়া : সারাদিন পরিমাণমতো পানি পান করেন তো? দিনে অন্তত আড়াই লিটার পানি না পান করলে ডিহাইড্রেশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ থেকে মাইগ্রেন হতে পারে। রাত জাগার অভ্যাস বাড়িয়ে তোলে মাইগ্রেনের ব্যথা।
ঘুমের অনিয়ম : প্রতিদিন চেষ্টা করুন ঘুমের জন্য অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা বরাদ্দ রাখতে। একান্ত না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। একদিন কম ঘুমালেন, একদিন বেশি ঘুমালেন, এমন না করে ঘুমের মাত্রা সমান রাখার চেষ্টা করুন।
কড়া আলো : তীব্র আলোয় অনেকের মাথা দপদপ করে। এমন হলে কিছুক্ষণ ঘরের আলো নিভিয়ে বা অন্ধকার স্থানে গিয়ে চোখ বুজে বসে থাকুন।
মৌসুম বদল : কড়া রোদ বা কনকনে ঠাণ্ডাÑ দুটোই মাইগ্রেনের জন্য খারাপ। এমন আবহাওয়ায় একটু সাবধানে থাকতে হবে। এ সময় ব্যায়াম করুন। এতে মাইগ্রেন দূরে থাকতে পারে। এ সময় ছাতা ও রোদচশমার ব্যবহার করতে হবে।
খালি পেটে থাকা : অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে বদহজমের সমস্যা শুরু হয়। গ্যাসের সমস্যা মাইগ্রেনের ব্যথা আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই কাজের খাবারে বসে জীবাণু ছড়াতে পারে।
চিকিৎসা : মাথাব্যথার অনেক ধরন রয়েছে। তার মধ্যে মাইগ্রেন একটি। বিশ্বে প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথায় ভুগে থাকেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে অনুপস্থিতি অথবা কর্মক্ষমতা হ্রাসের অন্যতম কারণ এই মাইগ্রেন।
আইএ
সম্পুর্ন খবরটি পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন ::মাইগ্রেনের ব্যথা হলে কী করবেন? first appeared on DesheBideshe.