কক্সবাজারের মহেশখালীতে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৌলভী জিয়াউর রহমান নামের এক শিক্ষককে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন ৫ জনকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে মহেশখালী থানা পুলিশ।
আটকরা হলেন- তাসমীন আক্তার (৩৫) স্বামী মনছুর আলী, সামিরা আক্তার (২৩) পিতা মনছুর আলী, ময়না আক্তার (২৫) স্বামী মৃত আব্দুর রমিজ, নুরুল আলম (৫০) পিতা মৃত আব্দুর জাব্বার, ও মুসলিম উদ্দিন (২৬) পিতা নুরুল হক।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে কুতুবজুম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা নামক এলাকার সুমাইয়া (রা) দাখিল বালিকা মাদ্রাসার সুপার জিয়াউর রহমান কে মাদ্রাসার আঙ্গিনায় ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় বাঁধা দিতে এসে মারাত্মক ভাবে আহত হন জিয়াউর রহমানের স্ত্রী রহিমা বেগম।
তাদের উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিয়াউর রহমান কে মৃত ঘোষণা করে এবং তার স্ত্রী রহিমা বেগমের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মহেশখালী কুতুবদিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবু তাহের ফারুকী, মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী ও মহেশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল রাজ্জাক।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমানের হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহভাজন পাঁচজনকে আটক করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।