মহেশখালীতে মো. ফেরদৌস (২৫) নামের যুবক নিহতের ঘটনায় এজাহারনামীয় ১৯ জন ও অজ্ঞাত ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিহতের চাচা নুরুল হক বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন। যার নং ০৭/২০২২।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাই সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার পরিদর্শক (এসআই) বাপ্পী সরকার জানান, দায়েরকৃত মামলায় হত্যায় ঘটনায় মুল অভিযুক্ত মো. জাবেদকে ১ নম্বর ও ঘটনার ইন্ধনদাতা স্থানীয় ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান মিন্টুকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ফকিরা ঘোনায় ধানখেতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মো. ফেরদৌসের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর নিহতের স্বজনেরা দাবি করে বাজার থেকে ফেরার পথে তাকে তুলে নিয়ে হত্যা করেছে মো. জাবেদের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন দুর্বৃত্ত। তার মৃত্যুর ঘটনায় ইন্ধনদাতা হিসেবে স্থানীয় ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান মিন্টুকে অভিযুক্ত করে পরিবার। অবশ্য, পুলিশ বলছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের গোলাগুলিতে নিহত হন মো. ফেরদৌস। তিনি ওই এলাকার মৃত মো. নেছারের ছেলে।
ঘটনার দিন রাতে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে আটক করে পুলিশ। তাদেরকে মামলায় আসামি করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে ওইদিনের এ ঘটনায় নিখোঁজ মো. ছোয়ানের খোঁজ মেলেনি।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাই বলেন, নিহতের চাচা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। দু’জনকে আটক করেছি। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।