গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের মহেশখালী::
স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা’র ৩৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী মহেশখালী অফিসে জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয়। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইপসা মহেশখালী ফোকাল পার্সন এম আজিজ সিকদার।
উপস্থিত ছিলেন মহেশখালীতে কর্মরত সিভিক প্রজেক্টের উপজেলা ম্যানেজার মোঃ আজগর হোসাইন, হাসান মাহমুদ জিল্লু, মোঃ নুরুল ইসলাম, শওকত আকবর, সানাউল করিম, সাইফুল ইসলাম ও চাইলু মং।
সভাপতির বক্তব্যে এম আজিজ সিকদার বলেন, ইপসা ১৯৮৫ সনের ২০ শে মে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক যুব বর্ষে সীতাকুণ্ডের ১৪ জন স্থানীয় যুব সংগঠকদের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠকগন সামাজিক উন্নয়নমূলক বিভিন্নরকম কার্যক্রমের পাশাপাশি ধুমপান ও মাদক বিরোধী কার্যক্রম গ্রহন করে। ইয়ং পাওয়ার’ ১৯৮৫-১৯৯১ সাল পর্যন্ত যুব সংগঠকদের নেতৃত্বে একটি সৃজনশীল ও সক্রিয় যুব সংগঠন হিসেবে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া উন্নয়ন বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহন ও বাস্তবায়ন করে।
১৯৯১ সালের ২৯ শে এপ্রিল বৃহত্তর চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস পরবর্তী সময়ে স্থানীয়ভাবে জরুরী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে অপরিসীম সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। ইয়ং পাওয়ার ‘ ক্লাবটি রূপকথার গল্পের মতো ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস পরবর্তী ( ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন- ইপসা) নামে রূপান্তরিত হয়ে একটি বেসরকারী অলাভজনক সামাজিক উন্নয়ন সংগঠন হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। এভাবে ‘ইয়ং পাওয়ার’ থেকে বেরিয়ে ইপসা নামে বিভিন্ন সামাজিক ইস্যূতে সচেতনতা তৈরীতে একটি সামাজিক শক্তি হিসেবে কাজ করে সমাজে উদাহরণ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। ক্রমে ইপসা কার্যক্রমের ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে।
ইপসা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন ব্যতিক্রমী প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছে। উন্নয়ন বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘ বিশ্ব ইয়ুথ ফোরাম ও ফেস্টিভ্যাল পর্তুগালে অংশগ্রহণ ও ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক যুব শান্তি পুরস্কার লাভ করে। বর্তমানে জাতিসংঘ ইকোনমিক ও সোশ্যাল কাউন্সিল ( ইকোসক) কর্তৃক বিশেষ পরামর্শক ও পদমর্যাদা প্রাপ্ত সংগঠক হিসেবে সুনামের সাথে ভূমিকা পালন করছে।
তবে আজকের ইপসার এগিয়ে যাওয়ার সাফল্যের পুরোটা জুড়ে রয়েছে ১৪ জন যুব সংগঠদের আন্তরিক ও অকৃত্রিম বন্ধুত্বের অনেক বর্ণিল গল্প। আজকের দিনে স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা ৩৭ বছর পেরিয়ে ৩৮ তম বছরে পদার্পন করলো। লক্ষিত জনগোষ্ঠীর ইতিবাচক পরিবর্তন ও সামাজিক উন্নয়ন অবদানে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন সংগঠন হিসেবে ইপসার অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক।
যুগযুগান্তর বেঁচে থাকুক ইপসা, ইপসা’র প্রতিষ্ঠতা প্রধান নির্বাহী মোঃ আরিফুর রহমান ও সকল প্রতিষ্ঠাতা সংগঠকবৃন্দ,কার্যকরী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, সাধারণ সদস্যবৃন্দ,পরিচালকবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবীবৃন্দ,শুভাকাঙ্ক্ষী ও সহযোদ্ধাবৃন্দকে কৃতজ্ঞতা, আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান ইপসা মহেশখালী ফোকাল পার্সন এম আজিজ সিকদার।
আলোচনা শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন মোঃ আজগর হোসাইন। উপস্থিত সকল স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেক কাটা ও মিষ্টিমুখের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।