মস্কো, ২৪ জুন – রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধরত ভাড়াটে আধাসামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ দেশটিতে সশস্ত্র বিদ্রোহ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে রাশিয়ার তরফ থেকে। এর ফলে মস্কোসহ অনেক শহরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
রাশিয়ার রোস্তভ শহরের গভর্নর নাগরিকদের ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ওয়াগনারের শীর্ষ কমান্ডার ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন দাবি করছেন, তার সৈন্যরা ইউক্রেনের সীমান্ত অতিক্রম করে রাশিয়ার অনেক জায়গায় প্রবেশ করেছে।
ইয়েভগেনির বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ ওঠার পর রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
টেলিগ্রামে প্রকাশিত একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন বলেন, তার সৈন্যরা যখন সীমান্ত অতিক্রম করে, তখন সেখানে উপস্থিত সৈন্যরা তাদের আলিঙ্গন করে।
তিনি আরও দাবি করেন যে সীমান্তে রাশিয়ান সৈন্যরা তাকে থামানোর নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তিনি তা করেননি।
ইয়েভগেনি বলেন, তারা ইউক্রেন সীমান্তের কাছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রোস্তভে প্রবেশ করছেন।
‘যদি কেউ আমাদের পথে আসে তবে আমরা আমাদের পথে আসা সমস্ত কিছু ধ্বংস করে দেব… আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
তবে এসব দাবির সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। রাশিয়ায় ওয়াগনার সৈন্যদের ছবি বা ভিডিও এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
রুশ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনকে রক্ষার জন্য রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনের প্রবেশ ও প্রস্থান গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং রাজধানীর কিছু এলাকায় সামরিক যানবাহন মোতায়েন করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াগনার রাশিয়ান সরকার সমর্থিত যোদ্ধাদের একটি গ্রুপ যারা রাশিয়ার স্বার্থে কাজ করে।
এই বেসরকারি সেনাবাহিনীকে একটি কোম্পানির আকারে ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়। ইয়েভগেনি পুতিনের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
প্রিগোঝিন একসময় একটি রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করতেন। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। এর আগে ওয়াগনার ক্রিমিয়া, সিরিয়া, লিবিয়া, মালি ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে দায়িত্ব পালন করেছে।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ২৪ জুন ২০২৩