ওয়াশিংটন, ০৬ নভেম্বর – মধ্যপ্রাচ্যে বিমানবাহী রণতরীর পর এবার ঘোষণা দিয়ে ভূমধ্যসাগরে পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সাবমেরিন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে অক্টোবরের মাঝামাঝি অর্থাৎ হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যেই ভূমধ্যসাগরে দুটি বিমানবাহী রণতরী পাঠায়।
রোববার (৬ নভেম্বর) মার্কিন নৌবাহিনী মধ্যপ্রাচ্যে সাবমেরিন পাঠানোর কথা ঘোষণা দিয়ে জানায়। আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রকে সাধারণত এভাবে ঘোষণা দিয়ে সাবমেরিনের অবস্থান জানানোর কথা বলতে দেখা যায় না। সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা দেখাতে যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) আওতাধীন। রোববার (৫ নভেম্বর) এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে সেন্টকম জানায়, ৫ নভেম্বর ওহাইও শ্রেণির একটি সাবমেরিন মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের আওতাধীন এলাকাতে এসে পৌঁছেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো সেই সাবমেরিনের ছবিও প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর অধীন শাখা সেন্ট্রাল কমান্ড। তাতে দেখা যায়, সুয়েজ খাল দিয়ে মার্কিন সাবমেরিনটি তার গন্তব্যে যাচ্ছে।
এই সাবমেরিনটি আন্তমহাদেশীয় টোমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী চারটি সাবমেরিনের একটি, নাকি ট্রাইডেন্ট-২ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী ১৪টি সাবমেরিনের মধ্যে একটি—তা জানা যায়নি। এই সাবমেরিন সিরিজ যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন বহরে সবচেয়ে বড় সংযোজন।
এর আগে, অক্টোবরের মাঝামাঝি ভূমধ্যসাগরে দুটি বিমানবাহী রণতরী পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ডকে ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়। পরে ১৪ অক্টোবর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস ডুইট ডি আইজেনহাওয়ারকেও পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন করার নির্দেশ দেন। ইউএসএস ডুইট ডি আইজেনহাওয়ারে ৯ স্কোয়াড্রন (সর্বনিম্ন ৭২টি এবং সর্বোচ্চ ২১৬টি) যুদ্ধবিমান রয়েছে। এর পাশাপাশি দুটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ও একটি গাইডেড মিসাইল ক্রুজারও পাঠানো হয়েছে।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০৬ নভেম্বর ২০২৩