[ad_1]
নয়াদিল্লি, ২৯ আগস্ট – ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন মেহবুবা মুফতি। বুধবার (২৮ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। খবর দ্য হিন্দুর।মেহবুবা মুফতি ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি।নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার কারণ জানিয়ে মেহবুবা মুফতি বলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলেও দলের এজেন্ডা এবং সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবেন না। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তাকে সে ক্ষমতা দেবে না।তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে ১২ হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর বাতিল করেছিলাম। সে সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান বন্ধ করেছিলাম। তখন বিজেপি-মোদির সঙ্গে জোট বেঁধে এসব করেছিলাম। এখন কি আমি এসব করতে পারব? যদি না পারি তবে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে লাভ কী?’ তিনি ইঙ্গিত করেন, বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি বদলে গেছে। এখন যিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন তার কোনো ক্ষমতাই থাকবে না। কেন্দ্রীয় সরকারই সব পরিচালনা করবে।তিনি আরও জানান, ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হলে একজন পিয়ন বদলির জন্যও তাকে সরকারের কর্মকর্তার কাছে ধরনা দিতে হয়। আমি পিয়নের বদলি নিয়ে চিন্তিত নই। আমি চিন্তিত দলের প্রতিশ্রুতি পালন নিয়ে। তবে পিয়ন বদলির ঘটনা থেকে বোঝা যায় জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা কতটুকু। দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে না পারলে নির্বাচন করে বা বিজয়ী হয়ে লাভ কী।মেহবুবা বলেন, অনেককে বন্দি রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রের মঙ্গলের জন্য ভোটের আগে তাদের মুক্তি দিতে হবে। নেতাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী তকমা দিয়ে গ্রেপ্তারের সমালোচনা করেন তিনি। মেহবুবা জানান, এসবের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করবেন। সে সঙ্গে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও তার দল নির্বাচনে অংশ নেবে।সূত্র: কালবেলাআইএ/ ২৯ আগস্ট ২০২৪
[ad_2]