শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ভাসানচরে গেলেন জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, ১ নভেম্বর, ২০২১

ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নোয়াখালীর ওই দ্বীপ ঘুরে দেখতে গেছে জাতিসংঘের দুই সংস্থার একটি যৌথ প্রতিনিধি দল।

সোমবার (১ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকা থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে তারা ভাসানচরে যান। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার শাহ মো. রেজোয়ান হায়াত এ কথা জানান।

২১ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) কর্মকর্তারা রয়েছেন।

রেজোয়ান হায়াত বলেন, সেখানে কার্যক্রম শুরুর প্রাথমিক কাজ হিসেবে জাতিসংঘের টিমটি ভাসানচরে গেল। তারা কয়েকদিন সেখানে অবস্থান করবেন।

শুরুতে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে স্থানান্তরের বিরোধিতা করলেও সেই অবস্থান বদলে সম্প্রতি ভাসানচরে শরণার্থীদের জন্য কাজ শুরু করতে সম্মত হয় জাতিসংঘ। এ বিষয়ে গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তিও করে ইউএনএইচসিআর।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন বলেছিলেন, জাতিসংঘের সংস্থাসমূহের মাধ্যমে কক্সবাজারের মত ভাসানচরেও মানবিক সহায়তা পরিচালিত হবে। বেসামরিক প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এখানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

মোহসীন বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআরের যৌথ উদ্যোগে রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি, সুপেয় পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, চিকিৎসা, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং জীবিকার ব্যবস্থা করা হবে ভাসানচরে, যে কাজটি এতদিন সরকার একাই করে আসছিল। বাংলাদেশ সরকার সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গা এবং জাতিসংঘ, সহযোগী সংস্থা ও দেশি-বিদেশি এনজিওকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে।

প্রতিনিধি দলটি সেখানে প্রাথমিকভাবে তিন দিন থাকবে। ভাসানচরে সাপ্লাই চেইন কীরকম হবে, তাদের অফিস, স্টোরেজ এবং মানবিক কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে তা নিয়ে তারা কাজ করবেন। বর্তমানে ভাসান চরে সাড়ে ১৮ হাজারের মত রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছেন বলে কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।


আরো খবর: