নয়াদিল্লি, ২৮ জানুয়ারি – কয়েক মিনিটের ব্যবধান ভারতের দুই রাজ্যে ভেঙে পড়ল মোট তিনটি বিমান। একদিকে রাজস্থানে একটি চার্টার্ড বিমান ভেঙে পড়েছে। অন্যদিকে, মধ্য প্রদেশের মোরেনাতে সুখোই-৩০ ও মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে বলে জানা গেছে। দুই জায়গাতেই উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। এই তিনটি দুর্ঘটনায় কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মধ্য প্রদেশের বিগত দুই দিন ধরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর মহড়া চলছিল। শনিবার সকালে মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়র এয়ারবেস থেকে সুখোই-৩০ ও মিরাজ ২০০০ এই দুটি যুদ্ধবিমান মহড়া শুরু করেছিল। আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ পরই মোরেনার কাছে দুটি বিমান ভেঙে পড়ে। বিমানের পাইলটদের এখনও খোঁজ মেলেনি। তারা বেঁচে আছেন কি না, তাও এখনও জানা যায়নি। আপাতত মহড়া বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমানবাহিনী।
ভারতীয় বিমানবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। বিমানদুটির ব্ল্যাকবক্সের খোঁজ করা হচ্ছে। ব্ল্যাক্সবক্সের খোঁজ পাওয়া গেলেই দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা থেকে মহড়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শৈত্যপ্রবাহের কারণে দেরিতে মহড়া শুরু হয়। সুখোই বিমানটি সকালে সাড়ে ৯টায় প্রথমবার মহড়া দেয়। এরপরে বিমানটি অবতরণও করে। পরে ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ ফের উড়ান শুরু করে বিমান, এরপরই বিমানটি ভেঙে পড়ে। সুখোই বিমানে দুইজন পাইলট ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
ভেঙে পড়া আরেকটি বিমান মিরাজ-২০০০। এই বিমানটি প্রথমবার মহড়া শুরু করার পরই ভেঙে পড়ে। মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানে একজন পাইলট ছিলেন। তারও খোঁজ মিলছে না। ভেঙে পড়া দুটি বিমানের মধ্যে মাত্র পাঁচশো মিটার দূরত্ব ছিল। বিমানদুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে নাকি অন্য় কোনও কারণে ভেঙে পড়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
অন্য়দিকে, রাজস্থানের ভরতপুরের নাগলা দিদা এলাকায় একটি চার্টার্ড বিমান ভেঙে পড়ে শনিবার সকালে। স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা। ওই বিমানে কতজন যাত্রী ছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি।
এদিকে, শনিবারই রাজস্থান সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তার আগে তিনটি বিমানে দুর্ঘটনা তার সফর ঘিরে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
,