শিরোনাম ::
পেকুয়ায় হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনা-বিজিপি সদস্যসহ ৪০ জনকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পেকুয়ায় মায়ের সামনে ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে অবহেলায় হাতি শাবকের মৃত্যু : ময়নাতদন্তের পর মাটি চাপা সাগরপথে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৬০০ বস্তা সারসহ ট্রলার জব্দ, আটক ১০ জন বিএনপি অফিস নিয়ে ভুল উচ্চারণ প্রসঙ্গে আমার ব্যাখ্যা ও বিএনপিসহ সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ কক্সবাজারে নিখোঁজ সিলেটের ৬ শ্রমিক উদ্ধার চকরিয়ায় দিনেদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকের যাত্রীর ভাড়া ও সি-ট্রাক চলাচলে সময়সূচি চূড়ান্ত,আনন্দে উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসী
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ভারতের নতুন গোয়েন্দা সাবমেরিন ‘বাগির’

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩
ভারতের নতুন গোয়েন্দা সাবমেরিন ‘বাগির’

নয়াদিল্লি, ২৩ জানুয়ারি – ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত হল নতুন সাবমেরিন (ডুবোজাহাজ)। নাম আইএনএস বাগির। জলসীমান্তের নজরদারি চালানোর পাশাপাশি ভারত মহাসাগরে গোয়েন্দাগিরিও করবে বাগির। এনিয়ে গত ২৪ মাসে আইএনএস বাগীরসহ মোট তিনটি সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীতে।

ফরাসি সংস্থা ডিসিএনএস-এর সঙ্গে নকশা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা চুক্তির ভিত্তিতে ৬টি কালভারী শ্রেণির ডুবোজাহাজ বানানো শুরু করেছিল ভারত। প্রোজেক্ট ৭৫ নামক প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা হচ্ছে এই সাবমেরিনগুলো। ভারতের মাজগাওঁ ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডের তরফে ২৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে কালভারী ক্লাসের এই সাবমেরিনটি তৈরি করা হয়েছে।

২০২০ সালের নভেম্বরেই সম্পন্ন হয়েছিল আইএনএস বাগীর নির্মাণের কাজ। এরপর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ট্রায়াল শুরু হয়েছিল এই সাবমেরিনের। এই সাবমেরিনটি স্থলে হামলা চালাতেও সক্ষম। অন্য সাবমেরিনের সঙ্গেও যুদ্ধে লিপ্ত হতে সক্ষম এটি। তাছাড়া গুপ্তচরবৃত্তি করার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী হবে এই সাবমেরিন।

এদিকে আইএনএস বাগীর নামক আরও একটি সবমেরিন ছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে। ১৯৭৩ সালের নভেম্বর মাসে সেই সাবমেরিটি ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত করা হয়েছিল। ২০০১ সালের জানুয়ারি মাসে আইএনএস বাগীরকে অবসরে পাঠানো হয়েছিল।

এই সাবমেরিনটির নামকরণ হয়েছে সামুদ্রিক হাঙরের নামে। যার ইংরেজি নাম স্যান্ড সার্ক। বাগিরের কাজের বিশেষত্ব লুকিয়ে রয়েছে এই নামকরণেই।

ভারত মহাসাগরের বাসিন্দা এই হাঙর তার শিকারের অবস্থান বুঝে নেয় অনেক দূর থেকে তাদের দেহের কম্পনের মাত্রা থেকে। একই ক্ষমতা রয়েছে নৌবাহিনীর নতুন ডুবোজাহাজ আইএনএস বাগিরেরও।

বাগিরের শরীরে রয়েছে অসংখ্য সেন্সর। নৌবাহিনীর কথায় বিশ্বের সেরা সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে এই সাবমেরিনে। এই সেন্সরের সাহায্যেই শত্রুপক্ষের অবস্থান অনেক দূর থেকে বুঝতে পারবে সে এবং আড়াল করতে পারবে নিজেকে। এই সেন্সরই বাগিরকে সাহায্য করবে শত্রুপক্ষের বিষয়ে জরুরি তথ্য সংগ্রহ করতে।

ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, বাগির যেমন নিঃশব্দে বিচরণ করতে পারে, তেমনই প্রয়োজনে শত্রুপক্ষকে আঘাত করতেও পারে। বাগিরের অস্ত্রের তূণে থাকছে শত্রুশিবিরের লক্ষ্যে যথাযথ আঘাত করার টর্পোডো, পানির নিচে থেকে ভূপৃষ্ঠে আঘাত করার মতো ক্ষেপণাস্ত্রও।

অন্যদিকে শত্রু পক্ষের হামলাকে ঠেকিয়ে রাখতেও পারবে এই সাবমেরিন। কারণ বাগিরে রয়েছে স্টেট অব দ্য আর্ট টর্পোডো ডেকয় সিস্টেম। বিপক্ষের টর্পেডোকে বিভ্রান্ত করে ভুল পথে চালনা করতে পারবে বাগির।

যে কোনও গোপন অভিযানেও সাহায্য করার ক্ষমতা রয়েছে বাগিরের। অবস্থান গোপন রেখে নৌ কম্যান্ডোদের যথাস্থানে পৌঁছে দিতে পারবে সে। এছাড়া এর শক্তিশালী ডিজেল ইঞ্জিন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যাটারি রিচার্জ করার ক্ষমতাও রয়েছে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল

 


আরো খবর: