শিরোনাম ::
চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে অবহেলায় হাতি শাবকের মৃত্যু : ময়নাতদন্তের পর মাটি চাপা সাগরপথে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৬০০ বস্তা সারসহ ট্রলার জব্দ, আটক ১০ জন বিএনপি অফিস নিয়ে ভুল উচ্চারণ প্রসঙ্গে আমার ব্যাখ্যা ও বিএনপিসহ সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ কক্সবাজারে নিখোঁজ সিলেটের ৬ শ্রমিক উদ্ধার চকরিয়ায় দিনেদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকের যাত্রীর ভাড়া ও সি-ট্রাক চলাচলে সময়সূচি চূড়ান্ত,আনন্দে উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসী পেকুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু উখিয়ার শিক্ষক ইকবাল হত্যার ঘটনায় আটক-১ “নদী ভাঙ্গন ঠেকাও,কোনাখালী বাসীকে বাঁচাও” কক্সবাজারে তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে জেপিটিটিসি’র হাউসকিপিং-প্লাম্বিং ট্রেনিংয়ের উদ্বোধন
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৬:০৭ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ভারতের উত্তরপ্রদেশে ব্যাপক বিপাকে মাদ্রাসা শিক্ষকরা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪
ভারতের উত্তরপ্রদেশে ব্যাপক বিপাকে মাদ্রাসা শিক্ষকরা


নয়াদিল্লি, ১২ জানুয়ারি – ভারতের উত্তরপ্রদেশ মাদরাসা শিক্ষায় অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এতে বেতন বন্ধ হয়ে চাকরি হারাতে চলেছেন হাজার হাজার শিক্ষক। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

উত্তরপ্রদেশের মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের প্রধান ইফতিখার আহমেদ জাভেদ জানিয়েছেন, রাজ্যটির বিভিন্ন মাদরাসার ২১ হাজারেরও বেশি শিক্ষক চাকরি ছাড়ার হারানোর পথে রয়েছেন। তাছাড়া এতে মুসলিম ছাত্র ও শিক্ষকরা ৩০ বছর পিছিয়ে যাবে বলেও দাবি তার।

জানা গেছে, ২০০৯-১০ সালে উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন কংগ্রেস সরকার রাজ্যটিতে ‘স্কিম ফর প্রোভাইডিং কোয়ালিটি এডুকেশন ইন মাদরাসাস/মাইনোরিটিস (এসপিইএমএম)’ নামক বিশেষ প্রকল্প চালু করেছিল। পরে ২০১৬ সালে সেই প্রকল্পের তহবিলে আরও ৩০০ কোটি রুপি যোগ করে বিজেপি সরকার। তাছাড়া প্রথম ছয় বছরে ৭০ হাজারেরও বেশি মাদরাসা এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

এ সংক্রান্ত একটি সরকারি নথি হাতে পেয়েছে রয়টার্স। সেই নথি অনুযায়ী, ২০১৭ ও ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে এসপিইএমএম প্রকল্পে অর্থবরাদ্দ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিল উত্তরপ্রদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড। কিন্তু সেটির অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।

পরে ২০২২ সালের অক্টোবরের পর থেকে থেকে প্রকল্পটির তহবিলে অর্থবরাদ্দ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে বিপদে পড়ে অনেক মাঝারি ও ছোটো মাদরাসা। এসব মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষকদের বেতন-ভাতার একটি বড় অংশ আসত এসপিইএমএম প্রকল্প থেকে। রয়টার্সের হাতে থাকা নথিতে এই অর্থায়ন বন্ধের কোনো কারণও উল্লেখ করেনি উত্তরপ্রদেশের রাজ্য সরকার।

প্রদেশটির মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের প্রধান ইফতিখার আহমেদ জাভেদ জানান, কয়েক মাস আগে তিনি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবরেই প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং এটি চালু করার জন্য নতুন কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি।

বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যসরকার নিজস্ব শিক্ষাবাজেট থেকে কিছু অর্থ বরাদ্দ করায় মাদরাসাগুলো এখনো টিকে রয়েছে। তবে শিক্ষকদের বেতন কমে গেছে কোথাও এক তৃতীয়াংশ, কোথাও বা এক চতুর্থাংশ। আগে যেখানে মাদরাসার একজন জুনিয়র শিক্ষক মূল বেতন পেতেন ১২ হা্জার রুপি, এখন তিনি পাচ্ছেন মাত্র ৩ হাজার রুপি।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়ক প্যানেলের অন্যতম সদস্য শহীদ আখতার অবশ্য বলেছেন এসপিইএমএম প্রকল্পটি পুনরায় চালু করা উচিত। এমনকি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও মনে করেন, শিশুদের আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাও দেওয়া দরকার। এই প্রকল্পটি মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য উপকারী ছিল। এ বিষয়ে আমি শিগগিরই সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।

ভারতে মুসলিমরা সংখ্যালঘু। প্রায় ১৪২ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ১৪ শতাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠী এবং তারা উত্তর প্রদেশের জনসংখ্যার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠনগুলো মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিরুদ্ধে মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অত্যাচারের অভিযোগ তুললেও তা অস্বীকার করে আসছে দলটি।

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ১২ জানুয়ারি ২০২৪





আরো খবর: