নয়াদিল্লি, ২৫ জুন – কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে বেসামরিক দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এরই মধ্যে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। রোববার (২৫ জুন) দেশটির সেনাবাহিনীর দেওয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায় ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দুই দেশের মধ্যে থাকা অলিখিত সীমান্ত লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) বা নিয়ন্ত্রণ রেখার সাতোয়াল সেক্টরে একদল রাখালের ওপর ভারতীয় সেনারা নির্বিচারে গুলি চালায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই ঘটনার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখানোর অধিকার রাখে বলে হুঁশিয়ারি দেয়।
শনিবারের ওই বিবৃতিতে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ আইএসপিআর বলে, নিরপরাধ কাশ্মীরিদের প্রতি তাদের স্বভাবগত অমানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রদর্শনের উদাহরণ হিসেবে আজ রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে ভারতীয় সেনারা সাতোয়াল অংশে একদল রাখালের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে দুজন নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত দু’জনের নাম ওবায়েদ কাইয়ুম (২২) ও মোহাম্মদ কাশিম (৫৫)। তারা দু’জনই পুঞ্চের হাজিরা এলাকার বারা দারি তেত্রিনোট গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আইএসপিআর।
ভারতীয় সেনাবাহিনী অবশ্য বলেছে যে, জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় এলওসি পেরিয়ে ভারতীয় অংশে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছিলেন তিন ব্যক্তি। সেসময় তারা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গুলি চালায়।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে, তার দুটিই হয়েছে কাশ্মীরকে ঘিরে। দুই পক্ষই বিবদমান এ অঞ্চলটির পূর্ণ কর্তৃত্ব চাইলেও, এখন তারা পৃথক দুই অংশ শাসন করছে।
২০২১ সালে বিরল এক যৌথবিবৃতিতে উপত্যকাটির বিরোধপূর্ণ সীমান্ত নিয়ে ২০০৩ সালে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছিল নয়া দিল্লি ও ইসলামাবাদ।
পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশ দুটি সর্বশেষ ২০১৯ সালে নতুন আরেকটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। সেসময় একাধিক ভারতীয় বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করার পর গুলি করে একটি বিমান ভূপাতিত করেছিল ইসলামাবাদ। নয়া দিল্লি সেসময় দাবি করেছিল, জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবিরে হামলা চালাতে বিমানগুলো পাকিস্তানের আকাশে ঢুকেছিল।
সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ২৫ জুন ২০২৩