সোমবার শোভন-রত্নার ডিভোর্সের মামলার জন্য আদালতে গিয়েছিলেন তাঁরা। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী বৈশাখী। তিনি আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন, রত্না চট্টোপাধ্যায় অহেতুক প্রচুর লোক নিয়ে আদালতে যাচ্ছেন। তাঁরা বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখাচ্ছে। বৈশাখী দাবি করেন, অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা হচ্ছে তাঁর। সরাসরি নিশানা করেন বিধায়ককে। পালটা দিতে ছাড়েননি রত্না। তিনি বলেন, “ভয়ের কোনও কারণ নেই। উনি তো ছেলেধরা। কেউ ওনাকে কিছু করবে না।” প্রয়োজনে আরও বেশি লোক নিয়ে আদালতে যাবেন বলেও জানান তিনি।
এদিন ফের শোভন-বৈশাখীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, “কেন সিঁদুর পড়েন বৈশাখী? ওনার তো ডিভোর্স হয়ে গেছে। নিজের মেয়েটাকে কেন বারবার আমার স্বামীর সন্তান বলে সব জায়গায় পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করছেন?” পুজোর আগে আমরা অন্যরূপে দেখেছি শোভন-বৈশাখীকে। একই রঙের পোশাকে হাতে হাত রেখে দুজনকে নাচতেও দেখা গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন বৈশাখী-শোভনকে বিঁধেছেন রত্না। বলেন, “উনি নোংরা। এমনতিই টিভিতে যেভাবে নেচেছে ওনাদের কেউ ভদ্রলোক বলে না।”
প্রসঙ্গত, গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। অবশ্য শোভনবাবু এবং বৈশাখীদেবী সংসার থেকে পৃথক হয়ে নিজেদের ঘরকন্না গুছিয়েছেন। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র নিজের সমস্ত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে লিখে দিয়েছিলেন। বৈশাখীদেবীও গোলপার্কে শোভনের ফ্ল্যাট কিনে নিয়েছেন।
- সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন