বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

বিশ্বাস ফেরাতে ঋণ শোধ করছেন আদানি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, ১ মার্চ, ২০২৩
বিশ্বাস ফেরাতে ঋণ শোধ করছেন আদানি


নয়াদিল্লি, ২৮ ফেব্রুয়ারি – হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনে নষ্ট হওয়া ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে মোটা অংকের ঋণ শোধ দেওয়ার চিন্তা করছেন ভারতীয় টাইকুন গৌতম আদানি। এ বিষয়ে অবগত দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই ৬৯ কোটি থেকে ৭৯ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত শেয়ার-সমর্থিত ঋণ পরিশোধ বা আগাম শোধ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে আদানি গ্রুপ।

ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার এবং শেয়ারের দরে ধস ঠেকানোর লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহে সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ে স্থায়ী আয় সংক্রান্ত রোডশো’র আয়োজন করেছে ভারতীয় সংস্থাটি। এর মধ্যেই ঋণ শোধের পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে এলো।

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হয়নি সূত্রগুলো। তারা বলেছে, আদানি গ্রুপের অঙ্গ-সংস্থা আদানি গ্রিন এনার্জি ৮০ কোটি ডলার তিন বছরের ক্রেডিট লাইনের মাধ্যমে তার ২০২৪ বন্ডে পুনঃঅর্থায়নেরও পরিকল্পনা করেছে।

মঙ্গলবার হংকংয়ে বন্ডহোল্ডারদের সামনে দুটি পরিকল্পনাই উপস্থাপন করেছে আদানি গ্রুপ। তিন দিনব্যাপী এ রোডশো আগামী বুধবার শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি আদানি গ্রুপের মুখপাত্র। তবে সংস্থাটির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) জুগেসিন্দর সিং ব্লুমবার্গকে বলেছিলেন, আপাতত আদানি গ্রুপের ঋণ পুনঃঅর্থায়ন বা মূলধন বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।

গত মাসে এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ‘করপোরেট জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজি’র অভিযোগ তোলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা হিনডেনবার্গ রিসার্চ। তাদের দাবি, আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলো কয়েক দশক ধরে শেয়ারবাজারে ধোঁকাবাজি এবং হিসাবপত্র জালিয়াতি করে আসছে।

হিনডেনবার্গ রিসার্চ আরও দাবি করেছে, আদানির কোম্পানিগুলোর কাঁধে বিশাল ঋণ রয়েছে, যা পুরো গ্রুপটির অর্থনৈতিক ভিত্তিকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।

গত ২৪ জানুয়ারি ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে এ পর্যন্ত আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানি ১৪ হাজার কোটি ডলারের বেশি বাজারমূল্য হারিয়েছে। ধস নেমেছে আদানির ব্যক্তিগত সম্পদেও। প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে তিনি ছিলেন বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষধনী। কিন্তু সম্পত্তি কমতে কমতে ধনীদের তালিকায় তার অবস্থান এখন ৩০তম। মাত্র এক মাসে আট হাজার কোটি ডলারের বেশি সম্পদ হারিয়েছেন ৬০ বছর বয়সী এ ব্যবসায়ী।

তবে হিনডেনবার্গের তোলা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে আদানি গ্রুপ। তাদের দাবি, আদানির বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তোলা ভারতের পরিকল্পিত আক্রমণের অংশ।

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩





আরো খবর: