শিরোনাম ::
সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০১:০৪ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

বিছানায় দু’মেয়ের লাশ, রশিতে ঝুলছিল মা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুরে বিছানায় দু’শিশু সন্তানের লাশের সাথে মায়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঈদগাঁও থানার পুলিশ মরদেহগুলো বাড়িসহ ঘিরে রেখেছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক (ওসি) মো. আবদুল হালিম। সিআইডির ক্রাইমসিন টিম আসার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন ওসি।

জানা যায়, ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন অফিস কৈলাষের ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে শহিদুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘরের কক্ষের ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত পাওয়া যায় তার স্ত্রী জিসান আকতারকে (২৫)। বিছানায় পাওয়া যায় দু’মেয়ে সাইফা শহিদ জাবিন (৫) ও সাইফা শহিদ জেরিনের (২) মরহেদ।

ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ বলেন, শহিদুল হক ও তার ভাই জিয়াউল হক লবণের ব্যবসা করেন। বুধবার সকালে লবণ নিয়ে শহিদুল হক মহেশখালী গেছেন বলে জেনেছি। সন্ধ্যায় আমরা যখন পুলিশসহ ঘটনাস্থলে যাই তখনও শহিদুল হক কর্মস্থল থেকে ফিরেননি।

ওসি আবদুল হালিম বলেন, স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে সন্ধ্যা ছয়টার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ। রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখা যায় দুই মেয়ের লাশ বিছানায় পড়েছিল এবং মা ফ্যানের সাথে বাঁধা রশিতে ঝুলছিল। ঘটনার কারণ জানা যায়নি। সেজন্য সিআইডির ক্রাইমসিন টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করবেন।

তিনি আরও বলেন, শহিদুল হক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। অল্প সময়ে ব্যবসায় সফলতা পেয়ে তার পরিবার ভালোই চলতো। কিন্তু পরিবারে কোন ধরণের কলহ ছিলো এমনটি জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েদের বিষ খাইয়ে মারার পর নিজেই ফাঁসিতে ঝুললো শহিদুল হকের স্ত্রী।

ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, দ্বিতল বাড়িতে জিয়াউল হক নিচে ও শহিদুল হক উপরে থাকতেন। শহিদুলের শোবার ঘরেই মা-মেয়ের মরদেহগুলো পাওয়া গেছে। পুলিশকে মরদেহ উদ্ধার করতে না দিয়ে সিআইডির অপেক্ষা করছেন মেয়ের বাবার পরিবার।


আরো খবর: