ঢাকা, ৩১ মার্চ – রাজধানীর পল্লবীতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ইফতার মাহফিলে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যাওয়া কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়েছে। এতে বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি ইমরুল আহসান জনি, চ্যানেল আইয়ের প্রতিবেদক আখতার হাবিবসহ বেশ কয়েকটি চ্যানেলের ক্যামেরাপার্সন আহত হয়েছেন। দুটি ক্যামেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ঘটনায় আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে বলেন, ‘মনে হয় না তারা দলকে ভালোবাসে। তারা অতিথিদের সম্মান রক্ষা করতে জানে না।’
এ সময় নেতাকর্মীদের শৃঙ্খখর মধ্যে আসার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের দালালেরা অনুষ্ঠানে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে।’
আয়োজকদের পক্ষ থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এর সমাধান করা হয়েছে। সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমাও চাওয়া হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘সরকার বিরোধী মত ও বিরোধী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে আবারও একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। তবে এবারে আর আগের মতো একতরফা নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ী হলে সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার করবে বিএনপি। তবে অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ডিজিটাল আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। ফলে নওগাঁয় একজন অসহায় নিরপরাধ নারীকে জীবন দিতে হলো। এর দায় কে নেবে? এর সম্পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে শুধু মামলা নয়, এই সরকার আরও তিনজন শ্রদ্ধেয় সম্পাদককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। তারা হলেন সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও যায় যায় দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান। আজকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা কোনোটাই নেই দেশে।’
আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানসহ স্থানীয় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সূত্র: দেশ রূপান্তর
আইএ/ ৩১ মার্চ ২০২৩