কলকাতা, ১১ মার্চ – আগামী ১৪ মার্চ হইচইতে মুক্তি পাচ্ছে মিমি চক্রবর্তীর নতুন ওয়েব সিরিজ ‘ডাইনি’। তার আগে ট্রেলার উদ্বোধনের মঞ্চে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন এই তারকা। যেখানে ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের বাইরেও নারীদের দৈনন্দিন সংগ্রামের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
ট্রেলার দেখেই বোঝা যাচ্ছে, নির্ঝর মিত্রের এই নতুন সিরিজে সামাজিক কুপ্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখা যাবে মিমি চক্রবর্তীকে। সেই প্রসঙ্গেই অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, এই ধরনের অন্ধবিশ্বাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ধর্ম ও লিঙ্গ রাজনীতি। শুধু অভিনেত্রী হিসেবে নয়, একজন নারী হিসেবে কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল এই চরিত্র তার কাছে?
জবাবে সোজা ব্যাটে খেললেন প্রাক্তন সাংসদ। বললেন, ‘একজন নারী যখন জন্মায় তখন থেকেই সে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজকে অনুভব করতে শুরু করে। আমরা কলকাতায় কলেজ করেছি। জানি, কেন বাসে দাঁড়িয়ে থাকার সময় মেয়েদের ব্যাগটাকে সামনের দিকে নিতে হয়। শুধু কলকাতা বলে নয়, দেশের যে কোনও প্রান্তেই এই ঘটনা ঘটে। এখান থেকে মেয়েদের বেসিক স্ট্রাগলটা শুরু হয়। এরপর ধাপে ধাপে পুরুষতান্ত্রিকতা, বেতনের অসাম্য, একজন মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হলে কাজ করতে না পারার মতো ঘটনা ঘটে। এই বিষয়গুলোও সমাজের একেকটি অন্ধকার দিক।’
ডাইনি শব্দটা তাই একদিক থেকে খুব প্রতীকী বলে মনে হয় অভিনেত্রীর কাছে। সময়ের শুরু থেকেই এমনটা হয়ে আসছে বলে মনে করেন তিনি।
অভিনেত্রী বলেন, ‘ইভটিজিং তো আজ থেকে শুরু হয়নি, সতীদাহ প্রথা কিংবা খনার জিভ কেটে নেওয়ার কথাও শুনেছি। সেটাও তো প্রাচীন ঘটনা। এটা কিন্তু শুধু মেয়েদের ক্ষেত্রেই হয়েছে।’
অভিনেত্রীর মতে, অনেকেই আজকাল ফেমিনিজমকে গালাগাল হিসাবে দেখেন। মেয়েদের নিয়ে কিছু বলতে গেলেও নারীবাদী বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নিজেকে ফেমিনিস্ট বলে দাবি করেন না
মিমের কথায়, ‘না, আমরা ফেমিনিস্ট নই। আমরা কেবল সেই জিনিসগুলোর জন্য লড়ছি যেগুলো আমাদের দেওয়া হয়নি। যদি আমাদের সমান হিসাবে গণ্য করা হতো, তাহলে তো এই তর্কটাই আসতো না। তাহলে তো আমাদের কিছু নিয়ে লড়াই করতেই হতো না। লড়াই করতে হচ্ছে তার কারণ নারীদের সাম্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে।’
আইএ/ ১১ মার্চ ২০২৫
সম্পুর্ন খবরটি পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন ::বাসে মেয়েদের কেন ব্যাগ দিয়ে বুক চেপে রাখতে হয় first appeared on DesheBideshe.