কলকাতা, ০৯ ডিসেম্বর – উত্তপ্ত বাংলাদেশ। পদ্মাপারের দেশের মৌলবাদী নেতাদের একের পর এক মন্তব্যে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার মাত্র ৪ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এমন বদলে গেল কী করে? বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির পিছনে পাকিস্তান ও চিনের উস্কানি রয়েছে বলে মনে করেন বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
পাকিস্তান ও চিনকে আক্রমণ করে রবিবার তিনি বলেন, “একটা প্ররোচনা দেওয়া চলছে। পিছনে পাকিস্তান ও চিন। তারা প্ররোচনা দিচ্ছে, যাতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। বাংলাদেশের একটা অংশ পাকিস্তান ও চিনের কাঠপুতুল হয়ে ভারতের সঙ্গে শত্রুতার বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে। তারা ইন্দিরা গান্ধীর সহযোগিতায় স্বাধীন বাংলাদেশ মানে না।”
পাকিস্তান ও চিন কেন প্ররোচনা দিচ্ছে, ব্যাখ্যা করলেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ককে বিষাক্ত করতে ষড়যন্ত্র চলছে। জম্মু ও কাশ্মীরে কড়া নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তান কিছু করতে পারছে না। বাংলাদেশ পাকিস্তানের থেকে আলাদা হওয়ার পর পাকিস্তানের উদ্দেশ্য হল, ভারতকে রক্তাক্ত করো। এতদিন বাংলাদেশকে পারছিল না। এবার বাংলাদেশের মাধ্যমে ভারতকে রক্তাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এটাই পাকিস্তানের কৌশল।”
চিনের উদ্দেশ্য নিয়ে বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ বলেন, “পাকিস্তানের পাশাপাশি রয়েছে চিনও। বেজিং চায়, ভারতকে ঘিরতে। পাকিস্তান চিনের দালাল। এবার বাংলাদেশকে কব্জা করতে পারলে পূর্বেও ভারতকে ঘিরতে পারবে চিন।”
বাংলাদেশের পরিস্থিতি বদলাবে বলে আশাবাদী অধীর। তিনি বলেন, “ইউনূস বাংলাদেশের শেষ কথা নন। মৌলবাদীরা শেষ কথা নয়। হিন্দু-মুসলমান মিলে যাঁরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সেই শক্তি আবার প্রস্ফুটিত হবে। মৌলবাদীদের গ্রাস থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হবে।” সেই গণ আন্দোলন আজ না হলে কাল হবেই বলে আশাবাদী অধীর।