কক্সবাজারের পেকুয়ায় হাফেজখানার এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনায় শিক্ষক মুজিবুর রহমানকে (২৮) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে কারাগারে পাঠান।
পেকুয়া থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছিরাদিয়া এলাকার ইমাম হোছাইন (র) হাফেজজখানা ও এতিমখানার শিক্ষক মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পেয়ে মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করেন। ভুক্তভোগী ওই শিশুকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল টেস্ট করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ইমাম হোছাইন (র) হেফজখানার শিক্ষক অভিযুক্ত মুজিবুর রহমান তাঁর এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করেন। এতে পরের দিন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী হাফেজখানা ছেড়ে বাড়িতে চলে যান। সোমবার সকালে তাকে হাফেজখানায় পাঠানোর জন্য তাঁর মা প্রস্তুত করে দিলেও সে যেতে চাচ্ছিলোনা। পরে সে তাঁর মাকে হুজুরের শারীরিক নির্যাতনের কথা খোলে বলে। এমনকি গত রমজানেও অনেকবার সে ওই শিক্ষকের কাছে বলাৎকারের শিকার হয়েছে বলে জানায়।
মামলার বাদী ভুক্তভোগীর পিতা বলেন, আমার ছেলেকে শিক্ষক মুজিবুর দীর্ঘদিন ধরে বলাৎকার করে আসছিলো। এতোদিন তা আমরা জানতাম না। সোমবার সে এসব আমাদের খোলে বলে।ব্যাপারটি মাদরাসা পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু এরকম ঘৃণ্যতর কাজ যাতে আর কেউ না করে তাই আমি আইনের শরণাপন্ন হয়েছি।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ বলেন, বলাৎকারের ঘটনাটি আমি সোমবার সকালে জানতে পারি। গতকাল (মঙ্গলবার) ভুক্তভোগী পরিবার লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় আসা মাত্রই ফোর্স পাঠিয়ে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি। বুধবার দুপুরে আসামীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মামলার বাদী এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি চেষ্টা করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন।