শিরোনাম ::
পেকুয়ায় হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনা-বিজিপি সদস্যসহ ৪০ জনকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পেকুয়ায় মায়ের সামনে ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে অবহেলায় হাতি শাবকের মৃত্যু : ময়নাতদন্তের পর মাটি চাপা সাগরপথে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৬০০ বস্তা সারসহ ট্রলার জব্দ, আটক ১০ জন বিএনপি অফিস নিয়ে ভুল উচ্চারণ প্রসঙ্গে আমার ব্যাখ্যা ও বিএনপিসহ সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ কক্সবাজারে নিখোঁজ সিলেটের ৬ শ্রমিক উদ্ধার চকরিয়ায় দিনেদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকের যাত্রীর ভাড়া ও সি-ট্রাক চলাচলে সময়সূচি চূড়ান্ত,আনন্দে উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসী
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকার স্বর্ণ পাচার হয়: বাজুস

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২

সারা দেশের জল, স্থল ও আকাশপথ ব্যবহার করে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার অবৈধ চোরাই স্বর্ণালংকার ও বার বাংলাদেশে আসছে। বছর শেষে চোরাচালানের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এসব স্বর্ণের প্রায় পুরোটাই আবার প্রতিবেশী দেশে পাচার হয়ে যায়। অর্থাৎ চোরাকারবারিরা বাংলাদেশকে স্বর্ণ চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে।

গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। দেশের জুয়েলারি খাতের অস্থিরতা ও চোরাচালান বন্ধে সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জোরালো অভিযানের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে সংগঠনটি।

বাজুস নেতারা জানান, গোয়েন্দা তথ্য, স্বর্ণ চোরাচালান-সম্পর্কিত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য ও নিজস্ব পর্যালোচনার ভিত্তিতে এ অনুমাননির্ভর হিসাব তৈরি করেছেন তারা। তবে তারা মনে করেন, এ হিসাব সর্বনিম্ন। আদতে দেশে আরো বেশি স্বর্ণ চোরাচালান হয়ে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাজুসের পরিচালক এনামুল হক খান। উপস্থিত ছিলেন বাজুসের যুগ্ম সম্পাদক বিধান মালাকার, পরিচালক ইকবাল উদ্দিন, সদস্য স্বপন চন্দ্র কর্মকার, বিকাশ ঘোষ, বাবুল রহমান ও নজরুল ইসলাম।

এনামুল হক খান বলেন, চোরাকারবারিরা বাংলাদেশকে স্বর্ণ পাচারের নিরাপদ পথ হিসেবে ব্যবহার করে। এটা কথার কথা নয়, প্রতিষ্ঠিত সত্য। আমাদের দেশকে ব্যবহার করে প্রতিবেশী একটি দেশে স্বর্ণ পাচার হয়। এটা বন্ধ করতেই হবে। তবে শুধু আইন প্রয়োগ করে চোরাচালান বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন এনামুল হক। তিনি বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তত্পর। তাদের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।

এজন্য তাদের প্রশিক্ষণ ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দেয়ার পাশাপাশি জব্দ করা স্বর্ণের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত পুরস্কার হিসেবে দেয়ার প্রস্তাব করেন বাজুস নেতারা। চোরাচালান বন্ধে প্রয়োজনে আরো কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাজুসকে সম্পৃক্ত করে আইন প্রয়োগকারী সব দপ্তরের সমন্বয়ে চোরাচালানবিরোধী সেল গঠনের পরামর্শ দেন তারা।


আরো খবর: