বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নৃশংসতার এক কালো ইতিহাস’

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেছেন, স্বাধীন দেশে কোনো বাঙালি তাঁর নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে না-বঙ্গবন্ধু’র এমন দৃঢ়বিশ্বাস ছিল বলেই রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবনের পরিবর্তে থাকতেন তাঁর প্রিয় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসভবনে। যে মানুষটি ভাবতেন স্বাধীন দেশে কোনো মানুষ তার জন্য নিরাপত্তা হুমকি হতে পারে না। কিন্তু অবিশ্বাস্য সেই হত্যাকাণ্ডের পর জাতি কেবল বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই হারায়নি, হারিয়েছে তাঁর আদর্শ, স্বপ্ন আর স্বাধীনতার মূলমন্ত্র। হারিয়ে গেছে, একটি জাতির উন্নত ভবিষ্যৎ এবং একটি উন্নত রাষ্ট্র।

বুধবার বিকেলে কক্সবাজার শহরের লালদিঘীর পাড়স্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগের নিয়মিত প্রকাশনা “রক্তাক্ত সিঁড়ি” বইয়ের ৭ম সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রক্তাক্ত সিঁড়ি’র সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মইন উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ভাঙ্গাচূরা দেশটাকে ঢেলে সাজাতে বঙ্গবন্ধু আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যে আবার চোর, দূর্নীতিবাজ আমলা, রাজনীতিবিদরাও ছিলেন। যারা বঙ্গবন্ধুর নৈতিকতার কারণে তাদের নিজস্ব স্বার্থ চরিতার্থ করতে পারছিলেন না, তারাই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা এবং সূত্রপাত করেন। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারের নিঃশেষ করেন।

আর সেই হত্যাকান্ডই নৃশংসতার এক কালো ইতিহাস বলে উল্লেখ করেন এই রাজনীতিবীদ।

জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী নাজমুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক আব্দুল খালেক ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, প্রধান আলোচক ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা কবি মানিক বৈরাগী।

বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য জিএম আবুল কাশেম, এড. রবিউল এহেসান লিটন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুন্না চৌধুরী, বোরহান উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াসিফ কবির, জেলা ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ, ইমরানুল হক রিদোয়ান।

এসময় তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা আহসান সুমন, জেলা ছাত্রলীগ নেতা আলা উদ্দিন, সালাহ উদ্দীন মাহমুদ, মাসুদ রানা, সাঈদ হোসেন কাদেরী, জামশেদ উদ্দীন, ইউনুচ উদ্দীন আকাশ, দেলোয়ার হোসেন, তারেক আজিজ ইমন, অনিক খান, সাকিব হাসান, জাওফী আহম্মেদসহ বিভিন্ন স্তরের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরো খবর: