পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে বৈকালিক সেবার নামে রোগির কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ডা. কেফায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে।
জানাগেছে, মারপিটে আহত তানমিন আক্তার (২০) নামের একজন মহিলা রোগি বিকেল আনুমানিক ৬টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে ভর্তি হন।জরুরী বিভাগের ডক্টর চেম্বারে বসা ছিলেন ডাক্তার কেফায়েত উল্লাহ। তিনি এদিন জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ছিলেন।
তানমিন চিকিৎসা সেবা নিতে গেলে তার কাছ থেকে বৈকালিক সেবার নামে আড়াই হাজার টাকা দাবি করেন। পরে তিনি এক হাজার পাঁচশত টাকা দিয়ে চিকিৎসা করান।
এ ব্যাপারে আহত তানমিন আক্তার বলেন, মারপিটে আহত হয়ে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হই। জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিই। এসময় ডাক্তার কেফায়েত উল্লাহ আমার কাছে আড়াই হাজার টাকা দাবি করেন।
পরে অনেক অনুরোধ করে দেড় হাজার টাকা দিই। এসময় ডাক্তার আমাকে একটি টাকা গ্রহণের রশিদ হাতে তুলে দেন। পরে সাংবাদিকেরা আসলে টাকা ফেরত দেন একজন মহিলা। আমার মা ভিক্ষা করে সংসার চালায়। ভিক্ষার টাকাই ডাক্তারকে দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমাকে ধারালো দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করালে টাকা দিতে হয় এটা আমার জানা ছিলোনা।
এব্যাপারে তানমিন আক্তারের মামা উজানটিয়া ইউপির গ্রাম পুলিশ কামাল হোসেন বলেন, ভাগ্নিকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাই। ডাক্তার কেফায়েত উল্লাহ দেড় হাজার টাকা ফিঃ নিয়েছে। বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে তারা এসে টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানতে চান। এসময় ডাক্তার এক প্রকার বিব্রতবোধ হয়ে টাকা ফেরত দেন। জরুরী বিভাগে ফ্রি চিকিৎসা চলে। অথচ ডাক্তার কেফায়েত বৈকালিক সেবার নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক জালাল উদ্দিন বলেন, ডাক্তার কেফায়েত উল্লাহর কাছে টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বৈকালিক সেবা বলে টাকা নিয়েছেন বলে জানান। এসময় তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মুজিবের নির্দেশনায় টাকা নিচ্ছেন বলে দাবিও করে। পরে প্রতিবাদ করায় টাকা ফেরত দিয়েছেন।
এব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজিবুর রহমান জানায়, বৈকালিক সেবার কথা কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে তিনি টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বলে দিচ্ছেন বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।