কিশোর-কিশোরীর প্রেম
পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::
কক্সবাজারের পেকুয়ায় এবার স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে থানায় রেকর্ড হয়েছে ধর্ষণ মামলা। অপ্রাপ্ত বয়স্ক দুই কিশোর-কিশোরীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। দুজনেই স্কুল শিক্ষার্থী। ছেলে পেকুয়ার শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। অপরদিকে মেয়ে বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিয়ের পিড়িতে বসাতে কিশোরীকে স্কুল ছাত্রের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক হট্টগোল হয়। এর জের ধরে কিশোরীর মা বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় গত ১৭ মার্চ ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৮/২০২৫।
সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালী এলাকায় দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ওই এলাকার ওবাইদুল হোসেনের পুত্র শাহরিয়ার মাহমুদ বিজয় (১৬) এর সঙ্গে প্রতিবেশী এক সৌদি প্রবাসী মেয়ের প্রমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মেয়ের বয়স ১৩ বছর। পড়ে সপ্তম শ্রেণিতে।বয়সী। ১৬ মার্চ রাত ১০ টার দিকে মেয়েকে ছেলের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে হট্টগোলসহ বিব্রতকর পরিস্থিতি দেখা দেয়।এমনকি মেয়েকে ছেলের বাড়ি থেকে রাতেই তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা ওই বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা চালানো হয়েছে। তবে ঘটনার পরের দিন ১৭ মার্চ পেকুয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু হয়েছে। মামলার আর্জিতে বাদী উল্লেখ করেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে শাহরিয়ার মাহমুদ বিজয়ের প্রমের সম্পর্ক আছে। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রায় সময় ছেলে প্রমের প্রস্তাব দিত। আমার মেয়েকে রাতে ছেলের বাড়িতে নিয়ে যায়।সেখানে বিয়ের প্রলোভনে মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ছেলে বিয়েতে রাজি হচ্ছেনা।
এদিকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক দুই শিক্ষার্থীর প্রেম ও বিয়েতে রাজি না হওয়ায় থানায় ধর্ষণ মামলা রুজু নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
শাহরিয়ার মাহমুদ বিজয় এর মা মর্জিনা বেগম বলেন, এটি সাঁজানো ও পরিকল্পিত ঘটনা। আমার ছেলে বিজয়ের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে আমি ও আমার পরিবার চরম শঙ্কিত। সে দশম শ্রেণির একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে তাঁরা দুজন এখনো অপ্রাপ্ত বয়স্ক। মেয়েকে তাঁর অভিভাবকরা জোর করে আমার বাড়িতে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা বলেছি দুজনই পড়ালেখা করছে। এখনো তাদের বিয়ের বয়স হয়নি। বিয়ে উপযুক্ত হলে দু’পরিবার বসে সিদ্ধান্ত নিব। আমরা দুজনের ভবিষ্যত জীবন নিয়ে ভাবছি। ধর্ষণ হয়নি। এলাকার কিছু কুচক্রিমহল দু’শিক্ষার্থীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। আমার ছেলে সন্তানদের সমাজে হেয় ও সর্বনাশ করতে এ মামলটি করেছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।
###