কক্সবাজারের পেকুয়ায় শামশুল আলম (৫০) ও মোহাম্মদ আরিফ (৩০) নামক অটোরিক্সা সিএনজির দু’শ্রমিককে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৮ জুন পেকুয়ায় অটোরিক্সা সিএনজি কমিটির আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জুলাই পেকুয়া থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। যার নং ০১/২৪। অটোরিক্সা সিএনজির একাংশের সভাপতি মো: রফিক বাদী হয়ে ওই মামলায় অটোরিক্সা সিএনজির পেকুয়ার দীর্ঘদিনের দায়িত্বে থাকা সভাপতি নাছির উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে। ১৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ১৫/১৬ জনসহ ৩০ জনকে মামলায় আসামী করে।
এ দিকে অভিযোগ উঠেছে, এ মামলায় উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বাসিন্দা দুই শ্রমিককেও জড়ানো হয়েছে। মগনামার ফতেহআলী মা’র পাড়ার মৃত উকিল আহমদের পুত্র শামশুল আলম ও রাহাত আলী পাড়ার নুরুল ইসলামের পুত্র মোহাম্মদ আরিফকেও ওই মামলায় ১১ এবং ১৩ নং আসামী করে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, শামশুল আলম ও মোহাম্মদ আরিফ অটোরিক্সা সিএনজি সংগঠনের বৈধ শ্রমিক। এ দু’জনের নামে শ্রম অধিদপ্তরে নিবন্ধিত সংগঠন অটোরিক্সা সিএনজির কক্সবাজারের বৈধ পরিচয় পত্র রয়েছে।
এ ব্যাপারে শামশুল আলম বলেন, আমরা (১৪৯১) রেজিষ্টার্ডের বৈধ কমিটির শ্রমিক। প্রায় ১৫ বছর ধরে এ সংগঠন নিয়ে কাজ করছি। শ্রম অধিদপ্তরের বিধি মোতাবেক শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য তহবিল সংগ্রহ করি। নাছির উদ্দিন ও রফিকের মধ্যে মূলত আধিপত্য নিয়ে বিরোধ। সে দিন পেকুয়া বাজারে মারপিট হয়েছে। আমরা থাকি মগনামায়। আমি অসুস্থ, বাড়িতে ছিলাম। আমি ও আরিফকে পরবর্তীতে দেখি মামলায় আসামী করে। আমরা হয়রানির শিকার।
শামশুল আলম আরো বলেন, আমরা শ্রমজীবি মানুষ। টিকিট কাউন্টারে চাকুরী করি। আমাদের হয়রানি করে লাভ কি। আমার কার্ড আছে, যার সদস্য নং ১৩৯৩। মোহাম্মদ আরিফ জানান, এ মামলা আমরা দু’জনের জন্য কাল্পনিক। আমরাতো মগনামার মানুষ। পেকুয়া বাজারে গিয়ে কোন পক্ষের অংশ হিসেবে মারামারি করেনি। এরপরও আসামী হলাম। যারা মিথ্যা মামলা দিয়েছে এদের বিচার আল্লাহকে দিলাম। আমি আর শামশু সংগঠনের বেতনভূক্ত কর্মচারী। যারা দায়িত্বে থাকে তাদের নিয়ে কাজ করাই হচ্ছে আমাদের মূল চিন্তাধারা। পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য জানান, পুলিশ তদন্ত করবে। নিরাপরাধ হয়ে থাকলে তদন্ত করে বাদ দেওয়া হবে।