পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::
কক্সবাজারের পেকুয়ায় নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়ামের শুভ উদ্বোধন হয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনে এ প্রথম যুক্ত হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরে অলিম্পিক মিনি স্টেডিয়ামের। স্মার্ট এ স্টেডিয়ামে সবুজ গালিচার মধ্যে চলবে দিবারাত্রি ফুটবল ম্যাচ। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এ মিনি স্টেডিয়ামের শুভ উদ্বোধন হয়েছে। ভূমি ও ভূপৃষ্ঠ থেকে এ স্টেডিয়ামটি উপরে নির্মিত হয়েছে। দিনে সূর্যের আলোতে সবুজ গালিচায় চলবে ফুটবল ম্যাচ। রাতেও চলবে ফুটবল খেলা। তবে কৃত্রিম আলোতে এ খেলা অবিরাম চলবে। ‘পেকুয়া স্পোর্টস এ্যারেনা’ নামের এ মিনি স্টেডিয়াম দেখতে অত্যান্ত চমকপ্রদ। ক্রীড়ামোদি দর্শকস্রোতাদের সত্যিই আচার্য্য ও বিমোহিত করবে। স্পোর্টস এ্যারেনা বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে অত্যান্ত পরিচিত ভেন্যু। আন্তর্জাতিক এ মাঠে বিশ্ব ফুটবলের নান্দনিক আসর দেখেছে পৃথিবীর ক্রীড়ামোদি দর্শক। ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি, নেইমার, কিলিন এমবাপ্পেদের মতো বিশ্বের মহা তারকাদের জাদুর ছোঁয়া ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করতে ফুটবলের আন্তর্জাতিক ভেন্যু স্পোর্টস এ্যারেনার নাম আমরা সকলেই শুনেছি। স্পোর্টস এ্যারেনা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবল ভেন্যু। ওই মাঠের আদলে পেকুয়ায় এ প্রথমবার সবুজ গালিচা বিছানো স্পোর্টস এ্যারেনার আত্মপ্রকাশ পেয়েছে। সু-উচ্চ দালানের বিশাল ছাদে একঝাঁক ক্রীড়ামোদি নতুন প্রজন্মের তরুণ এমন একটি খেলার মাঠের প্রবর্তক। ভূপৃষ্ঠের উপরেই দিবারাত্রি চলবে ফুটবল ম্যাচ। মিনি স্টেডিয়ামটি অত্যান্ত স্মার্ট এবং আধুনিকমান সমৃদ্ধ। মাঠে গেলে সবুজের গালিচায় যেন প্রকৃতি সবুজের ঘাসের মধ্যে আপনার হাতের ছোঁয়া পেয়েছে। অলিম্পিক ক্রীড়াঙ্গনের জন্য মিনি গোলবার রয়েছে। ১৪ জন খেলতে পারবে প্রতিটি ম্যাচে। প্রতিদ্বন্ধী দুদলের জন্য নির্ধারিত খেলোয়াড় ৭+৭। তবে একজন রেফারি থাকবেন ম্যাচ পরিচালনার জন্য। রক্ষণভাগে যিনি খেলেন ওই খেলোয়াড় আবার উঠে গিয়ে আক্রমণ ভাগেও যান। ছোট ছোট পাশের ওপর তারকা খেলোয়াড়দের ফুটবল ম্যাচ এ সবুজ মাঠে অত্যান্ত আকর্ষনীয়ভাবে প্রত্যক্ষ ও উপভোগ করা যাবে। কলেজ গেইট চৌমুহনীর উপকন্ঠে ক্রেমলিন চৌধুরী প্লাজার তৃতীয় তলায় এ মিনি স্টেডিয়াম নির্মিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে পেকুয়ার কর্মরত গণমাধ্যম কর্মী দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার পেকুয়ার সংবাদদাতা রেজাউল করিম বলেন, পেকুয়ার ক্রীড়াঙ্গনকে সমৃদ্ধ করতে আমরা এ উদ্যেগ নিয়েছি। দিবারাত্রি চলবে খেলা। স্পোর্টস এ্যারেনার মাধ্যমে পেকুয়াকে আমরা বাংলাদেশের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। তরুণরা এসে শরীর চর্চাসহ ফুটবল ম্যাচে যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে পেকুয়ায়।
###