মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

পেকুয়ায় বালু সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি ব্যবসায়ীরা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪

পেকুয়া প্রতিনিধি::

পেকুয়া উপজেলার শিলখালী জারুলবুনিয়ায় সাধারণ বালু ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে গড়ে উঠেছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। আর এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দু রশিদ ও আজগর হোসেন। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে সাধারণ বালু ব্যবসায়ীদের রক্তঝরা ঘামের টাকা। এসব সিন্ডিকেট থেকে পরিত্রাণ পেতে চায় জারুলবুনিয়ার সাধারণ ব্যবসায়ীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শিলখালী জারুলবুনিয়ায় সাধারণ খেটে খাওয়া বালু ব্যবসায়ীরা যখন জীবিকার তাগিদে একটু-আধটু করে বালু বিক্রি করে সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই তাদের রক্ত শুষে খাওয়ার লক্ষ্যে গড়ে উঠে একটি সঙ্ঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। তারা ব্যবহার করছে বিএনপির নাম। এদের নেতৃত্ব দিচ্ছে স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দু রশিদ, আজগর হোসেন, মোঃ এনাম এবং যুবদল নেতা ফরহাদ। সাধারণ বালু ব্যবসায়ীরা পূর্বে প্রতি গাড়ি বালু বিক্রি করে ২৫০০-২৬০০টাকা পেয়ে থাকলেও বর্তমানে এই সিন্ডিকেটের কারণে তারা প্রতি গাড়ি বালুর দাম পাচ্ছে মাত্র ২০০০-২১০০ টাকা। এই সিন্ডিকেট সাধারণ ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে জোরপূর্বক স্বল্প দামে ক্রয় করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে থাকে৷ যার ফলে ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ ব্যবসায়ীরা৷ মোঃ এনাম এই অতিরিক্ত টাকা সংগ্রহ করে জামানত হিসেবে রাখেন স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে। এসব সিন্ডিকেট অত্যান্ত প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়না কেউ। যার কারণে সাধারণ বালু ব্যবসায়ীদের রক্তঝরা ঘামের টাকা চলে যাচ্ছে এই সিন্ডিকেটের পকেটে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বালু ব্যবসায়ী বলেন, আমরা আগে সরাসরি কাস্টমারদের কাছে বালু বিক্রি করে ন্যায্য দাম পেতাম। আর এখন আমরা এই সিন্ডিকেটের কারণে সরাসরি বালু বিক্রি করতে পারছিনা। যার কারণে বাধ্য হয়ে তাদের কাছে কম দামে বালু বিক্রি করতে হচ্ছে। বিক্রি করতে না চাইলে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে আমাদের। আমরা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। এদের হাত অনেক লম্বা তাই এদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস করেনা৷ আমরা এসব সিন্ডিকেট বন্দ করতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।

শিলখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আব্দু রশিদ জানান, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোর করে বালু নেওয়া হচ্ছে সেটা মিথ্যে কথা। গত পাহাড়ি ঢলে জারুলবুনিয়ায় রাস্তা ভেঙে যাওয়ার কারণে প্রতি গাড়ি থেকে ২০০টাকা করে তুলা হয়েছিলো রাস্তা সংস্কারের জন্য। এটা নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় আমরা সেটাও বন্দ করে দিয়েছি। আমরা স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীদের সুবিধার্তে বালুগুলো যথাযথভাবে বিক্রি করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি মাত্র।
###


আরো খবর: