পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের পেকুয়ায় চলাচল খালের ওপর কৃত্রিম বাধ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে কয়েক দিনের টানা বর্ষণে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অন্তত ১০ থেকে ১৫টি পরিবারে পানি ঢুকেছে। তলিয়ে গেছে চারটি পুকুরের মাছ ও মালটা বাগান। এদিকে ওই বাধ অপসারণ করতে গেলে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে, উপজেলার টইটং ইউনিয়নের বটতলী মালগারা এলাকায় একটি পানি চলাচল খালের ওপর কয়েক দিন আগে কৃত্রিম বাধ নির্মাণ করে মালগারা এলাকার মৌলভী মো.হোসেনের ছেলে রমিজ উদ্দিন। চলাচল খালের পাশে বসবাস করে আসছিলেন প্রতিবেশী ওসমান গনি।
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে বাধের কারনে পানি যেতে না পারায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে করে ওসমান গনিসহ অন্তত ১০-১৫ টি পরিবার পানিতে ডুবতে বসেছে।
এব্যাপারে ওসমান গনি বলেন, রমিজ উদ্দিন নামের জনৈক ব্যক্তি ধানি জমিতে মাছ চাষ করার জন্য চলাচল খালে কৃত্রিম বাধ নির্মাণ করে। বাধের কারণে পানি জমে বাড়ি ঘরে ডুকছে। বাধ অপসারণের জন্য তাকে অনেকবার বলেছি। কথা শুনেনি। ইউপির সদস্য ও চেয়ারম্যানকেও অবগত করেছি। তারা সরেজমিনে এসে বাধ কেটে দিতে বলেছে। তাদের কথাও রাখেন নি। চেয়ারম্যানের কথায় বাধ কেটে দিতে গেলে রমিজ আহমদ মুঠোফোনে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়।
এদিকে মুঠোফোনে গুলি করে হত্যার হুমকির ১মিনিট ২৪ সেকেন্ড এর ভয়েস রেকর্ড এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এসময় রমিজ আহমদ ওসমান গনিকে প্রথমে দা দিয়ে কোপানোর হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মহেশখালী থেকে বন্দুক এনে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে ইউপির সদস্য আব্দুল জলিল জানায়, বাধ দিয়ে পানি আটকানোর খবর পেয়ে আমি গিয়েছিলাম। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে বাধ কেটে দিতে বলেছি।
কারনে পানি জমে গেছে। দ্রুত বাধ অপসার
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রমিজ আহমদ জানায়, পানি অপসারণের জন্য বাধের নিচে পাইপ বসাবো বলছি। এরপরেও তারা বাড়াবাড়ি করছে। হত্যার হুমকি তিনি সরাসরি অস্বীকার করেন।