পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::
কক্সবাজারের পেকুয়ায় তিন দিনের প্রবল বৃষ্টি ও উজানে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার শিলখালী ও টইটং ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়ছে এসব ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। পানির তোড়ে ভেঙে অন্তত ১১টি গ্রামীণ সড়ক। ধসে পড়েছে অন্তত ১২টি কাঁচা বসতঘর। পানিতে ভেসে দুই শতাধিক পুকুরের মাছ। তলিয়ে গেছে ধানের বীজতলা ও সবজি ক্ষেত।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়া সড়কের অন্তত ১০টি স্থানে ভেঙে গেছে। জারুলবনিয়া স্টেশন এলাকায় পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ৩০ফুট সড়ক ভেঙে মানুষের বসতঘরে পানি ঢুকেছে। ধসে পড়েছে মাটির দেয়ালের অন্তত ১২টি বসতঘর।
একটি ধসে পড়া বসতঘরের মালিক নজির আহমদ (৫৬)। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টার দিকে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে সব ভেসে নিয়ে গেছে। ঘরের দেয়াল ধসে পড়েছে। পরিবারের সদস্যরা কোনো রকম প্রাণ নিয়ে ফিরেছি।
এদিকে শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়া, সেগুনবাগিচা, টুইন্যামোড়া, ভেটভেটি পাড়া, মাঝেরঘোনা, চেপ্টামোড়া, হেদায়াতাবাদ, মাতবরপাড়া, কাছারীমোড়া, টইটং ইউনিয়নের আলিগ্যাকাটা, সোনাইয়াকাটা, পন্ডিতপাড়া, রমিজপাড়া, ধনিয়াকাটা, সোনাইছড়ি, নতুনপাড়া, আব্দুল্লাহপাড়া, মাঝেরপাড়া, হাজীরবাড়ি, বাজারপাড়াসহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার মানুষ এখন এক প্রকার গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে।
শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আহমদ শফি বলেন, পাহাড়ি ছড়া ছোট হয়ে যাওয়ায় ও ছড়া দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করায় ঢলের পানি উপচে এবং ভেঙে মানুষের বসতঘর প্লাবিত হচ্ছে। বৃষ্টি না কমলে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, অতি বৃষ্টির ফলে শিলখালীর জারুলবনিয়া সড়কের ১০টি স্থানে ভেঙে গেছে। অন্তত ১২টি বসতঘর ধসে পড়েছে।
টইটং ইউপির সদস্য আবদুল জলিল বলেন, কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে টইটংয়ে ডুবে গেছে অন্তত ১০-১২টি গ্রাম। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ধানের বীজতলা ও সবজি ফসল। বেশিরভাগ বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। চরম বেকায়দায় ও দুর্ভোগে দিন পার করছে এখানকার মানুষ।