ভিসা সংক্রান্ত লেনদেনের মামলায় প্রায় এক মাস কারাভোগ করে এসে বাদীকে উলঙ্গ করে নির্দয় পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে আসামি ও তার স্বজনরা। এসময় আরো দু’শিশু আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউপির হাজিরপাড়া নুরুল আলম কোম্পানী স্টেশনে এঘটনা ঘটে।
আহতেরা হলেন, রাজাখালী ইউপির মিয়ার পাড়া এলাকার মৃত মো. আলীর ছেলে আজিজ করিম (৩৮), আবদুল মোনাফের মেয়ে লীজা (১২) ও চার বছরের শিশু সোনিয়া। আহতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানাগেছে, মিয়ার পাড়া এলাকার সিএনজি চালক আজিজ করিম ও প্রতিবেশী মৃত বশরত আলীর ছেলে নুরুল আবছার ওরফে ফকির আবছার এর মধ্যে ভিসা সংক্রান্ত লেনদেন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। আজিজের দায়ের করা মামলায় জেলও খাটেন নুরুল আবছার।
আহত আজিজ করিম বলেন, মিয়ার পাড়া থেকে রিজার্ভ মহিলা যাত্রী নিয়ে বাঁশখালী নাপোড়া যাচ্ছিলাম। হাজির পাড়া নুরুল আলম কোম্পানি স্টেশনে পৌঁছলে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা নুরুল আবছার ওরফে ফকির আবছার, ছেলে আজাদ, ভাই নুরুল কবির গাড়ি গতিরোধ করে ব্যাপক মারধর শুরু করে। এমনকি তারা আমাকে টেনে হেঁচড়ে বের করে উলঙ্গ করে নির্দয় পেটান। এসময় গাড়িতে থাকা দু’শিশু যাত্রীও তাদের মারধরে গুরুতর জখম হন।
তিনি আরো বলেন, ভিসা সংক্রান্ত লেনদেনের মামলায় ফকির আবছার আমার মামলার আসামি। গত ২৪ এপ্রিল দীর্ঘ সাতাশ দিন জেল খেটে এসেছেন। তাঁরা আমাকে নিশ্চিত প্রান নাশের চেষ্টা চালিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, রাজাখালী ইউপির গ্রাম পুলিশ কায়সার বলেন, স্টেশনে প্রকাশ্যে একজন লোককে উলঙ্গ করে মারধর করা মানবাধিকারের চরম লঙ্গন। হামলাকারীরা এলাকার প্রভাবশালী। জেল থেকে ফিরে বাদীকে নিষ্টুরভাবে পিটিয়েছে। শত শত মানুষ দেখেছে মারধরের এমন ঘৃন্য দৃশ্য। আমরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেছি।
গাড়িতে থাকা যাত্রী মোর্শেদা বেগম বলেন, মুখের ভাষায় প্রকাশ করা যাচ্ছেনা এমন বর্বর ঘটনা। আমরা চরম আতঙ্কে ছিলাম। মারধরে আমার দুশিশু কন্যাও রেহায় পায়নি। আমি এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি।
ইউপির সদস্য নেজাম উদ্দিন নেজু বলেন, আমি বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে শুনেছি। আজিজের সাথে যেটি ঘটেছে এটি অত্যন্ত ঘৃনিত। তাঁরা আপন দুলাভাই-শ্যালক। এর আগেও আজিজকে মেরে মাথা ফেটে দিয়েছিল। তাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে ফকির আবছার। এটা কঠোর শাস্তি হওয়া উচিৎ।
###