সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

পেকুয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে এসোসিয়েশনের বিবৃতি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০২২

পেকুয়া প্রতিনিধি::

কক্সবাজারের পেকুয়ায় রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন পেকুয়া উপজেলা শাখা।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) এ সংক্রান্ত বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন এক বিবৃতি দিয়েছেন।

চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন পেকুয়ার সভাপতি ও টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারন সম্পাদক উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এম, তোফাজ্জল করিম, সদস্য বারবাকিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এ,এইচ, এম বদিউল আলম, পেকুয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান এম, বাহাদুর শাহ, শিলখালী ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান মো: ইউনুছ চৌধুরীসহ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন পেকুয়ার নেতৃবৃন্দরা বলেছেন রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বাবুল চেয়ারম্যান জনগনের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তাকে একজন সরকারী মাঠ কর্মকর্তা প্রকাশ্যে হেনস্থা করেছে। চেয়ারম্যানের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এরপর আহত অবস্থায় বাবুল চেয়ারম্যানকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে দেখা গেছে, যাকে জখম করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে থানায় রেকর্ড করা হয়েছে মামলা। ইউনিয়ন পরিষদ, স্থানীয় সরকার কাঠামোর একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান।

ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও জনগনকে সেবা দেয়ার জন্য এ ইউনিয়ন পরিষদ অত্যন্ত যুগপোযোগী একটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান। চেয়ারম্যান জনগনের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। সে দিন রাজাখালীতে চেয়ারম্যানকে নিয়ে যে আচরণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ।

রাষ্ট্রের একজন মাঠ কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধির ওপর আক্রমণ করার অধিকার কে দিয়েছেন তাকে। আমরা জনপ্রতিনিধিরা ওই আচরণে অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। পরবর্তীতে চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে থানায় যে মামলা রুজু হয়েছে তা দেখে আরো হতাশ হয়েছি। বিস্মিত হয়েছি জনপ্রতিনিধির ওপর এ বৈষম্যমূলক আচরণ দেখে। আমরা মামলা ও চেয়ারম্যানের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আহবান করছি ওই উদ্ভূত পরিস্থিতি যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে যায়। চেয়ারম্যানের উপর মামলা, হামলা হলে জনগনের অধিকার খর্ব হয়ে যায়। সেই সাথে জনগনের আস্থার সংকট তৈরী হতে পারে।

আমরা চাই প্রশাসন ও জনপ্রতিধিরা পরষ্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত থাকুক। যাতে করে সরকারের উন্নয়ন ও জনগনের অংশীদারিত্বমূলক কাজসমূহ আরো অধিক গতিশীল থাকবে। আমরা এলজিইডিসহ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতি আহবান করছি সে দিন কেন একজন মাঠ কর্মকর্তা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির উপর ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। এর সঠিক ক্লু ও রহস্য বের করে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ নিবেন।


আরো খবর: