কক্সবাজারের পেকুয়ায় ঘরে ঢুকে একই পরিবারের চারজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে সদর ইউনিয়নের সিরাদিয়া এলাকায় এঘটনা ঘটে।
আহতেরা হলেন, সিরাদিয়া এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ( ৪০) স্ত্রী জেয়াসমিন আক্তার (৩৫), মেয়ে সিফাতুল হাফছা সিফা (২০) ও ছেলে আবু হানিফ( ২২)।
আহতদের স্থানীয়ারা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আহত সকলকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) রেফার করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, জাহাঙ্গীর এর সাথে প্রতিবেশী মোস্তাফিজুুর রহমানের ছেলে বেলাল উদ্দিন মিয়াজীর দ্বন্ধ রয়েছে। গত একমাস আগে একটি মানহানি কেলেঙ্কারি বিষয় নিয়ে জাহাঙ্গীর এর স্ত্রী জেয়াসমিন আক্তার ও বেলাল উদ্দিনের স্ত্রী রুকেয়া বেগমের ঝগড়া হয়। এনিয়ে মুলত দু’পক্ষের দ্বন্ধ। গত রবিবার বিকেলেও উক্ত বিষয় নিয়ে কথাকাটা হয়। এরজের ধরে বেলাল উদ্দিন মিয়াজি, তার ভাই বাচ্চু, চাচা আবুল হাসেম, বেলালের স্ত্রী রুকেয়া বেগম, বাচ্চুর স্ত্রী কুলসুমা বেগমসহ আরো কয়েকজন মিলে জাহাঙ্গীরের ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
আহত জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। সকালে হামলাকারীরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে। কোন কিছু বুঝার আগেই ধারালো কিরিচ দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আমাদের মারাত্বক জখম করে। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাঁরা আমার পুরো পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা ঘরে ব্যাপক লুটপাট চালায়। নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া দিলে তাঁরা পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে অভিযুক্ত বেলাল উদ্দিন মিয়াজি বলেন, আমার স্ত্রীকে নিয়ে মানহানিকর কুৎসা রটায় জাহাঙ্গীরের স্ত্রী জেয়াসমিন আক্তার। আমি এর প্রতিবাদ করলে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মারপিট হয়েছে। এতে আমি ও আমার বড় ভাই বাচ্চুও আহত হই।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, মারপিটের খবর শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।