পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার খাসিয়াইস ইউনিয়নের নয়াহাট এলাকা থেকে পেকুয়া থেকে অপহৃত তিনজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অপহরণের সাথে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া অপহৃত ভিকটিমরা হলেন, পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বুধামাঝিরঘোনা এলাকার মৃত আবু তাহের এর ছেলে আবদুল্লাহ আল নোমান (২৪), একই এলাকার রহিম উদ্দিনের ছেলে মো. রাইমন (২৪) ও রামু উপজেলার রশিদনগদর ইউনিয়নের বড় ধলিরছড়া এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মনজুর আলম (২৪)। উদ্ধার হওয়া তিনজনই একটি রেষ্টুরেন্টের কর্মচারী।
আটক ব্যক্তির নাম মো. ইলিয়াছ (২৩)। তিনি পটিয়া উপজেলার খাসিয়াইস ইউনিয়নের পূর্ব বাকখাইন এলাকার মো. আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার ভোররাতে পেকুয়া থানার এসআই রুহুল আমিনের নেতৃত্বে পুলিশ পটিয়ার খাসিয়াইস ইউপির নয়াহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ৩ জনকে উদ্ধার করে।
জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পেকুয়া থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে আবদুল্লাহ আল নোমান, রাইমন ও মনজুর আলম অপহরণের শিকার হন। তাদেরকে এবিসি সড়কের বারাইয়াকাটা রাস্তার মাথা থেকে একটি নোহা গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় দুষ্কৃতিকারীরা। পরে তাকে খুঁজে না পেয়ে তার ভাই মো. রফিস বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এদিকে ভিকটিম নোমানের মোবাইল থেকে তার ভাইয়ের মোবাইলে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ফোন দেন অপহরণকারীরা। নড়েছড়ে বসে পুলিশ।
জানাগেছে, ভিকটিমের মোবাইল লোকেশন ট্রেক পটিয়া উপজেলার খাসিয়াইস ইউপির নয়াহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এসময় পুলিশ ভিকটিমসহ অপর দুজকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারী দলের এক সদস্যকে আটক করে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল মোস্তফা বলেন, পেকুয়া থেকে একজন নিখোঁজের অভিযোগ পেয়ে নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ। নিখোঁজের ভাইয়ের মোবাইলে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসলে বিষয়টি অপহরণ হিসেবে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি করে।
পটিয়ার খাসিয়াইস ইউপির নয়াহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী মো. ইলিয়াছকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও তার অন্যান্য সহযোগী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। অপহরণ মামলায় আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আসামিকে আরও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
###