নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া::
কক্সবাজারের পেকুয়ায় চাঁদা না পেয়ে চিংড়ি ঘেরের মালিককে হাত পা রশি দিয়ে বেঁধে প্রায় দুই লাখ টাকার মাছ লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (২৬ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যাদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ঘেরের মালিক দিদারুল ইসলামক (২৩) পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি কোদাইল্যাদিয়া এলাকার নুরুল কাদেরের ছেলে।
দিদারুল ইসলাম বলেন,আমার মালিকানাধীন চিংড়িঘেরে জাল ফেলে মাছ ধরছিলাম। এসময় হঠাৎ একই এলাকার আশরাফ মিয়া,তাঁর ছেলে আবদুর রহমান, আব্দুল হাকিম,আব্দুল মান্নান, মৃত একরাম মিয়ার ছেলে মনছুর,মৃত মাহমদ আলীর ছেলে নুরুল কবিরসহ আরে ৫-৬ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘেরে হানা দেয়। এসময় তাঁরা আমাকে ব্যাপক মারধর করে। এক পর্যায়ে হাত পা রশি দিয়ে বেঁধে ঘের থেকে মাছ লুট করে নিয়ে যায়।
দিদারুল ইসলামের পিতা বৃদ্ধ নুরুল কাদের বলেন,প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চিংড়িঘের করে আসছি। গত কয়েক বছর ধরে এলাকার কিছু চিহ্নিত খারাপ লোক আমাকে ঘের থেকে বিতাড়িত করতে অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে। তাঁরা আমার কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবীকৃত চাঁদা না দিলে চিংড়িঘের জবর দখল করার ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। জনবল কম হওয়ায় তাঁরা আমাকে প্রতিনিয়ত নানাভাবে হয়রানি করছে। তিনি আরো বলেন,কয়েক দফা আশরাফ মিয়ার নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা ঘের থেকে জোর করে মাছ লুট করেছে। গত দুইদিন আগেও প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। এর একরাত পরে আবারো আমার ছেলেকে মারধর করে বিপুল পরিমাণ মাছ নিয়ে গেছে।
মগনামা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান বদিউল আলম বলেন,দুপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম। আশরাফ মিয়া গংদের এ সমস্ত কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে শতর্ক করা হয়েছে। শুনেছি এরপরেও নাকি তাঁরা মাছ লুট করেছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন,আবদুল হাকিম ও আবদুর রহমান এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। জমি দখল বেদখল, চাঁদাবাজি,মারপিটসহ নানা অপকর্মে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের প্রতিনিয়ত অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।