মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

পাকিস্তানে ১ লেফটেন্যান্ট জেনারেলসহ ৪ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০২৩
পাকিস্তানে ১ লেফটেন্যান্ট জেনারেলসহ ৪ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত


ইসলামবাদ, ২৬ জুন – গত ৯ মে পাকিস্তানজুড়ে যে ব্যাপক জনবিক্ষোভ হয়েছিল— তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা এবং বিক্ষোভকারীদের কবল থেকে সেনাস্থাপনা রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগে ৪ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

সেই সঙ্গে আরও ১৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সংবাদমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী।

বরখাস্ত হওয়া এই কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন লেফাটেন্যান্ট কর্নেল রয়েছেন। বাকি তিন জনের পদমর্যাদা জানাননি আইএসপিআরের মহাপরিচালক।

যে ১৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাদের ৩ জন মেজর জেনারেল এবং ৭ জন ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার। বাকি ৫ জনও কমিশনপ্রাপ্ত বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা।

এছাড়া বিক্ষোভে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে একজন অবসরপ্রাপ্ত চার তারকা জেনারেলের নাতনি, অবসরপ্রাপ্ত আর এক চার তারকা জেনারেলের জামাতা, অবসরপ্রাপ্ত একজন তিন তারকা জেনারেলের স্ত্রী এবং অবসরপ্রাপ্ত একজন দুই তারকা জেনারেলের জামাতাকেও জিজ্ঞসাবাদ করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন মেজর জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী।

সোমবার রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করে আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, ‘গত ৯ মে এই দুবৃত্তরা পাকিস্তানের যে ক্ষতিসাধন করেছে— এত বছরে কোনো বাইরের শত্রুও আমাদের দেশের এত ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনি।’

গত ৯ মে আলোচিত আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী নেতা ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে দেশটির প্রধান দুর্নীতি দমন সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো। এই ঘটনার জেরে এক অভূতপূর্ব বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পাকিস্তান এবং ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেশজুড়ে সামরিক বাহিনীর দপ্তর ও সেনানিবাসে হামলা হয়। বিক্ষোভে ৭ জনের মৃত্যুও হয়েছে।

বিক্ষোভের পর পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) নেতৃত্বাধীন জোট সরকার মন্তব্য করেছিল—এটি কোনো স্বতস্ফূর্ত বিক্ষোভ নয়; বরং পিটিআই আগে থেকেই এ ধরনের একটি নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। সেই পরিকল্পনারই ফলাফল ৯ মে’র বিক্ষোভ।

সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে সেই বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে পাকিস্তান আইসপিআরের মহাপরিচালক বলেন, ‘জনগণকে বিভ্রান্ত ও উত্তেজিত করে এই দুর্যোগ ঘটানো হয়েছিল।’

সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ২৬ জুন ২০২৩





আরো খবর: