সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট গণনা চলছে, বিশৃঙ্খলা-বোমাবাজি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩


কলকাতা, ১১ জুলাই – ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। কড়া নিরাপত্তায় মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে রাজ্যের ২২টি জেলার ৩৩৯টি কেন্দ্রে ভোটগণনা শুরু হয়।

এদিকে, ব্যালট পেপারে ভোট গণনা ধীরগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যে ফলাফল পাওয়া গেছে, তাতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে আছে। পিছিয়ে আছে বিজেপি ও বাম কংগ্রেস জোট।

গত শনিবার (৮ জুলাই) ভোট হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সহিংসতা, জাল ভোট, বুথ দখল, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ভোটের দিনই মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের এবং আহতের সংখ্যা একাধিক। নির্বাচনের আগে থেকেই সহিংসতা, সংঘর্ষ শুরু হয়। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই রাজ্যে ২৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, ভোটগণনার দিনও জেলায় জেলায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় তৃণমূল এবং বিরোধীদের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। দুই তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। হাওড়ার বালিতে বিজেপির কর্মীর মাথা ফাটানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। দু’জন জখম হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

রাজ্যে মোট পঞ্চায়েত আসন- ৬৩,২২৯। পঞ্চায়েত সমিতির আসন- ৯,৭৩০। জেলা পরিষদ আসন- ৯২৮। তবে ৯১২টি আসনে গণনা হবে। কারণ ১৬টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬৩ হাজার ২২৯ আসনের মধ্যে আট হাজার দু’টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা। এর মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ৭,৯৪৪টি আসনে। দু’টি আসনে জয়ী বিজেপি। তিনটি আসনে জয়ী সিপিএম। অন্য প্রার্থীরা জয়ী ৫৩টি আসনে। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৯,৭৩০ আসনের মধ্যে ৯৯১টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। এর মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ৯৮১টি আসনে। অন্যরা জিতেছে ১০টি আসনে।

এদিকে রোববার রাতে (৯ জুলাই) রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা ঘোষণা দেন, সোমবার (১০ জুলাই) ৬৯৭ কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচন হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার রাজ্যের ১৯ জেলার ৬৯৭টি বুথে ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট হয়েছে। দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোটগ্ৰহন প্রক্রিয়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ছিল।

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সূত্র অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের মোট গণনা কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৩৯টি এবং স্টং রুম ৭৬৭টি। প্রতিটি ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে ও গণনা কেন্দ্রের ভেতরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে রাজ্যের নির্বাচন কমিশন।

মালদহ জেলার ভোট গণনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট গণনা কেন্দ্রের সামনে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী সেখানে লাঠি চার্জ করে। ডায়মন্ড হারবার ভোটগণনা কেন্দ্র ফকির চাঁদ কলেজের সামনে গণনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দফায় দফায় বোমাবাজি শুরু হয়।

সিপিএমের এজেন্টদের ভোট গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন মুর্শিদাবাদ জেলায় সবচেয়ে বেশি সহিংসতায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। ওই জেলায় সকাল থেকে ভোট গণনা কেন্দ্রের সামনে বোমাবাজি ও গুলি চালনোর ঘটনা ঘটে। তবে তিনজন আহত হলেও মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটেনি।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/১১ জুলাই ২০২৩


আরো খবর: