জেরুজালেম, ০৭ মে – দখলকৃত পশ্চিমতীরে দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সম্প্রতি ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর আল-জাজিরার।
ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েলিদের ওপর হামলাকারীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তুলকারেম শহরের কাছে নুর শামস শরণার্থী শিবিরে অভিযানের পর দুইজনের মরদেহ থাবেত সরকারি হাসপাতালে পৌঁছেছে।
বলা হয়েছে, নিহত দুইজনের বয়সই ২২ বছর। তাদের বুকে, ঘারে ও তলপেটে গুলি করা হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, এই দুইজন ইসরায়েলিদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত।
এর আগে ৪ মে ইসরায়েলি অভিযানে কমপক্ষে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। আহত হয় আরও চার ফিলিস্তিনি। উত্তরাঞ্চলীয় নাবলুস শহরে ওই অভিযান চালানো হয়। সে সময়ও ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
সম্প্রতি বিচারব্যবস্থা সংস্কারের প্রতিবাদে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কট্টোর ডানপন্থি সরকার ও দেশের বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল বিপুল সংখ্যক ইসরায়েলি নাগরিক বিক্ষোভ করে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, এ সংস্কার বাস্তবায়িত হলে সুপ্রিম কোর্টের রায়গুলো খুব সহজেই বাতিল করার ক্ষমতা পাবে নেসেট বা পার্লামেন্ট। অর্থাৎ, বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ ও যেকোনো আইনি সিদ্ধান্ত বাতিল করার ক্ষমতা পাবেন পার্লামেন্ট সদস্যরা।
চাপের মুখে মুখে গত মাসে বিচারব্যবস্থার সংস্কার থেকে সাময়িক পিছু হটার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। পার্লামেন্ট নেসেটে দেওয়া ভাষণে পিছু হটার ঘোষণা দিলেও, এখনো সংস্কার প্রস্তাব বাতিলের ঘোষণা দেননি তিনি। আর তাতেই সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে।
সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/০৭ মে ২০২৩