মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

নিপুণকে জেতাতে ফোন করেছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪
নিপুণকে জেতাতে ফোন করেছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও


ঢাকা, ২১ আগস্ট – বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২ সালের নির্বাচনে প্রাথমিক ভোট গণনায় সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান জয়ী হন। তার কাছে ১৩ ভোটে পরাজিত হন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। কিন্তু ফলাফলে অসন্তোষ জানিয়ে ভোট পুনর্গণনার জন্য আপিল করেন এই চিত্রনায়িকা। সেখানেও আসে একই ফলাফল। তাতেও সন্তুষ্ট না হয়ে আদালত দ্বারস্থ হন নিপুণ।

পরবর্তীতে আদালতের রায়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন এই অভিনেত্রী। তিনি পুরো সময় দায়িত্ব পালন করেন।

অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচনে নিপুণকে জয়ী করতে নির্বাচন কমিশনারদের ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখান রাজনৈতিক নেতারা। এমনকি তাকে জয়ী করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা পিরজাদা হারুনকে ১৭ বার ফোন করেছিলেন শেখ সেলিম। শুধু তিনি (শেখ সেলিম) নয়, ফোন দিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামলও। তার সঙ্গেও নিপুণের ভালো একটি সম্পর্ক ছিল।

এ প্রসঙ্গে পিরজাদা হারুন বলেন, ‘২০২২ সালের নির্বাচনে যখন ভোট গণণা করা হচ্ছিল তখন শেখ সেলিম ১৭ থেকে ১৯ বার আমাকে ফোন করেছিলেন। আমার সঙ্গে তার কয়েকবার কথাও হয়েছে। ওই রাতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামলও আমাকে ফোন করেছিলন। তাদের দুজনের উদ্দেশ্যই ছিল এক।’

 

পিরজাদা হারুন আরও বলেন, ‘ওই নির্বাচনে তার ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়, যা তাকে মানসিকভাবে এখনো আতঙ্কিত করে। নির্বাচনে নিপুণকে জয়ী দেখাতে অনেক ওপর থেকে এক ক্ষমতাবান রাজনীতিবিদ একের পর এক ফোন করতে থাকেন। তিনি সে সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ প্রায় সব মন্ত্রণালয়ে সরাসরি প্রভাব খাটাতেন, নিয়ন্ত্রণ করতেন বলা যায়। কিন্তু আমি সরাসরি ‘না’ বলে দেই।’

ভয়ভীতির পাশাপাশি মোটা অঙ্কের অর্থের লোভ দেখানো হয় উল্লেখ করে হারুন বলেন, ‘তখন একের পর এক ফোনে আমাকে ভয় দেখানো হয় যে তুলে নিয়ে যাবে। পরে একটা জায়গায় যেতে বলেন, যেখানে বড় অঙ্কের টাকা রাখা ছিল। যখন রাজি হলাম না, তখন ফলাফল নিয়ে মামলা করা হলো। সেটা চলে গেল কোর্টে। তখন নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আমাকে বানিয়ে দেওয়া হলো অন্য একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য। নানা কাণ্ডে আমাকে ছোট করা হলো, এফডিসিতে নিষিদ্ধ করা হলো।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বদলে যান নিপুণ। অভিনয় বাদ দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেই তার চলাফেরা শুরু হয়। তখনই শেখ সেলিমসহ রাজনৈতিক অনেক নেতাকর্মীর সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। ২০১২ সালে বনানীর অভিজাত এলাকায় নিপুণ গড়ে তোলেন নিজস্ব পারলার। সেটা উদ্বোধন করতে আসেন শেখ সেলিম নিজেই।

আইএ/ ২১ আগস্ট ২০২৪





আরো খবর: