শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

নারী সমাবেশের মাধ্যমে বৈচিত্রতা পেলো রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবাসনের আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩

নিজ দেশ মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের দাবীতে এফডিএমএন রিপ্রেজেনটেটিভ কমিটির আয়োজনে লম্বাশিয়া ১ ইস্ট রোহিঙ্গা শিবিরে অনুষ্ঠিত হয়েছে রোহিঙ্গা নারীদের এই সমাবেশ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকালে রিইন্ট্রোডিউসিং উইম্যান’স লিডারশীপ শিরোনামে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে উখিয়া-টেকনাফের ৩৩ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অংশ নেন রোহিঙ্গা নারী প্রতিনিধিরা।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান। এসময় তিনি বলেন, ” রোহিঙ্গাদের মর্যাদার সাথে স্বদেশে ফেরাতে বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।”

রোহিঙ্গা নারীদের এই সমাবেশের প্রশংসা করে তিনি আরো বলেন, ” বিশ্বায়নের এই সময়ে নারীর ক্ষমতায়নের বিকল্প নেই। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হওয়া স্বত্তেও আজকে রোহিঙ্গা নারীরা প্রচলিত প্রথা ভেঙ্গে নিজ ভূমিতে ফিরতে এখানে জড়ো হয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।”

সমাবেশের বক্তব্যে ২০ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আসা রোহিঙ্গা নারী নেত্রী রশিদা খাতুন বলেন, ” আমরা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ, তারা আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। তবে এই আশ্রিত জীবন আর চাই না, ফিরতে চাই নিজেদের ভূমি প্রিয় আরাকানে। আমরা মায়ের জাত, নিজেদের সন্তানদের নিজস্ব সংস্কৃতিতে আমাদের বড় করতে হবে।”

এফডিএমএন রিপ্রেজেনটেটিভ কমিটির নেতা মোহাম্মদ সৈয়দুল্লাহ বলেন, ” রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৫০ শতাংশই নারী, আমরা চেয়েছি আমাদের বাড়ি ফেরা কর্মসূচিতে তারা যুক্ত হোক এবং আজ সেটাই হলো। ঐক্যবদ্ধ হলে রোহিঙ্গা নারীদের থামানো যাবে না আজ তারা সেটাই প্রমাণ করেছে।”

২০১৭ সালে নতুন করে মানবিক বিপর্যয়ে পড়ে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাড়ে সাত লাখের বেশি। ৬ বছরে সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দশ লাখে, বেসরকারী হিসাবে ১২ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে বাস করছে বাংলাদেশে।

এর আগেও প্রত্যাবাসনের দাবীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাড়ি ফেরা কর্মসূচি সহ বিভিন্ন কার্যক্রম, তবে এবার বিপুলসংখ্যক নারী সমাগমের মাধ্যমে বৈচিত্রতা পেলো রোহিঙ্গাদের এই আন্দোলন।

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীটির প্রচলিত প্রথা ভেঙ্গে এই প্রথমবারের মতো একসাথে সমবেত হলো হাজারেরো বেশি বিভিন্ন বয়সী রোহিঙ্গা নারী।


আরো খবর: