নয়াদিল্লি, ০৮ জানুয়ারি – নারীর শারীরিক গঠন নিয়ে মন্তব্য করাও যৌন হয়রানির অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে বলে রায় দিয়েছেন ভারতের কেরালা হাইকোর্ট। এই রায় নারীর মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার (০৬ জানুয়ারি) কেরালা হাইকোর্টের বিচারক এ. বদরুদ্দীন এ রায় দেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইকোর্টের এক রায়ে বলা হয়, কোনো নারীর ‘শারীরিক গঠন’ নিয়ে মন্তব্য যৌন হয়রানির অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
কী ঘটেছিল?
প্রতিবেদনে বলা হয়, কেরালা স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের এক পুরুষ কর্মচারীর বিরুদ্ধে তার নারী সহকর্মী অভিযোগ করেন, ২০১৩ সাল থেকে তিনি নিয়মিত অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করছেন। ২০১৬-১৭ সাল থেকে অভিযুক্ত তাকে অশালীন বার্তা পাঠানো এবং ফোনকল করা শুরু করেন। ভুক্তভোগী নারী বিষয়টি কর্মস্থল এবং পুলিশের কাছে জানালেও অভিযুক্ত ব্যক্তি তার কার্যক্রম বন্ধ করেননি।
অভিযুক্তের বক্তব্য
মামলায় ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তি তাকে টানা কয়েক বছর ধরে হয়রানি করেছেন। তিনি কেবল মন্তব্য করেই থেমে থাকেননি, বরং ফোনকল এবং বার্তার মাধ্যমে তার ব্যক্তিগত জীবনে বারবার হস্তক্ষেপ করেছেন।
আদালতের পর্যবেক্ষণ
মামলার বিষয় আদালত পর্যবেক্ষণের পর বিচারক বলেন, অভিযুক্তের এই আচরণ প্রাথমিকভাবে যৌন হয়রানির শামিল। রায়ে উল্লেখ করা হয়, নারীর শারীরিক গঠন নিয়ে মন্তব্য করাও শারীরিক ও মানসিকভাবে আঘাত করার শামিল, যা সমাজে নারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে।
আদালতের রায়
রায় নিয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কেরালা হাইকোর্টের এই রায় নারীদের অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত। এটি সমাজে নারীর মর্যাদা রক্ষা এবং হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা পৌঁছে দেবে।
সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ০৮ জানুয়ারি ২০২৫