নিয়ামে, ২৬ আগস্ট – নাইজারের সামরিক সরকার দেশটিতে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত সিলভাইন ইত্তেকে দেশ ছাড়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে। নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকে সাড়া না দেওয়া এবং ফরাসি সরকারের অন্যান্য পদক্ষেপ নাইজারের স্বার্থের পরিপন্থী হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রুশ টেলিভিশন নেটওয়ার আরটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুরাহামানে তচিয়ানির সামারিক সরকার এই নির্দেশ দেয়। তচিয়ানির নেতৃত্বে পশ্চিমাপন্থী রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করার এক মাস পরে সাবেক উপনিবেশবাদী রাষ্ট্র ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা হলো।
প্রতিক্রিয়ায়, পশ্চিম আফ্রিকান স্টেটসের অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ের (ইকোওয়াস) ১১ সদস্য নাইজারকে বহিষ্কার করেছে। একই সঙ্গে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ করার জন্য একটি সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দিয়েছে।
তবে ইকোওয়াসের সদস্য দেশ গিনি নিষেধাজ্ঞা মানতে অস্বীকার করেছে। প্রতিবেশী মালি এবং বুরকিনা ফাসো বলেছে যে তারা এই ধরনের হস্তক্ষেপকে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলে মনে করবে।
ইকোওয়াস আক্রমণ করলে এই দুই প্রতিবেশী নাইজারকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে বলে বৃহস্পতিবারের শেষের দিকে সমঝোতা করেছে।
নাইজার-বুরকিনা ফাসো ও মালি যেকোনো আগ্রাসন বা সন্ত্রাসী হামলার ক্ষেত্রে একে অপরকে সহায়তার জন্য একমত হয়েছে।
মালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদৌলায়ে ডিওপ এবং তার বুরকিনার ফাসোর সমকক্ষ অলিভিয়া রৌয়াম্বাও ইকোওয়াস এবং পশ্চিম আফ্রিকান ইকোনমিক অ্যান্ড মনিটারি ইউনিয়ন (ইউইএমওএ) দ্বারা নাইজারের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করেছেন।
ইকোওয়াস বারবার সামরিক হস্তক্ষেপের চূড়ান্ত পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, নিয়ামেতে কূটনৈতিক মিশন পাঠানো অব্যাহত রেখে।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, জেনারেল তচিয়ানি বেসামরিক শাসনে ফিরে আসার একটি প্রস্তাবের রূপরেখা দিয়েছেন যা বাস্তবায়নে তিন বছর সময় চেয়েছেন। তবে প্রতিবেশী এবং ফ্রান্সকে নাইজারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার জন্য সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
ইকোওয়াস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং প্রেসিডেন্ট বাজুমের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। শুক্রবার জোটটি হুমকি দিয়ে বলেছে, সামরিক বিকল্প এখনও টেবিলে রয়েছে।
সূত্র: ঢাকাটাইমস
আইএ/ ২৬ আগস্ট ২০২৩